নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, কাল রাতে এক আন-নউন নাম্বার থেকে ফোন আসছে। বলে, তোর মৃত্যু সামনে!
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে পঞ্চবটি থেকে পাগলা পর্যন্ত ফতুল্লা অঞ্চলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত এক শান্তি মিছিলের পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগেও বিগত বেশ কয়েকটি সভা সম্মেলনে তাকে মেরে ফেলার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, কোন মাইকিং করি নাই, শুধু কর্মীদের কানে পৌছানো হয়েছে আমরা ফতুল্লায় মিছিল করবো। আর ভিড় লেগে গেছে। এটা নৌকার কোন মিছিল না, এটা শান্তির মিছিল। এই মিছিল শান্তির পক্ষে, এই মিছিল সকল ধ্বংসের বিরুদ্ধে। যারা বাসে আগুন দিচ্ছে, ট্রেনে আগুন দিচ্ছে, এই মিছিল তাদের বিরুদ্ধে। ওরা আমাদের মানচিত্রে থাবা দিয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এই নারায়ণগঞ্জে আমাদের ১৭ জনকে হত্যা করেছিল, আমরা কিন্তু কাউকে হত্যা করি নাই। আমরা কাউকে আঘাত করতে চাই নাই। ওরা আমার বাড়ি হিরামহল যেয়ে, আমার বাবা যে চেয়ারে বসতেন সেখানে পেশাব করেছিল। আমরা কিছুই করি নাই। তারা যে অপরাধ করেছে তা শয়তানের কার্যকালাপ।
তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, জনগণকে উছিলা করেছি। এই কারণে জাতির পিতার কন্যা আমাদের সাথে আছেন। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা হিমালয়ের পর্বতের চেয়েও শক্ত। আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে উনি মাথা নত করেন নি, ইনশাল্লাহ করবেনও না।
তিনি আরও বলেন, পঞ্চবটি থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত ফ্লাইওভার হচ্ছে, ডাবল রেললাইন হচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ হতে আমার মার নামে ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহা সড়ক হচ্ছে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোড এখনও পরিপূর্ণতা লাভ করে নি। এই সড়কের পাশে মেডিকেল হবে, হাসপাতাল হবে। শুধু ফতুল্লা এলাকায় প্রায় ৬শত কোটি টাকার কাজ করেছি। এসব জনগণের জন্যই করা হচ্ছে।
এছাড়াও ২২ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে মিছিল করার কথা বলেন শামীম ওসমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু প্রমুখ।