বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামী নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মাকসুদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার (৫ মার্চ) ভোরে বন্দরের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী । তিনি জানান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যাত্রীবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানের দোসর মাকসুদ হোসেন পাচঁ আগষ্টে স্বৈারাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভোল পাল্টে বিএনপি-জামায়াতের লোক পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। পাচঁ আগষ্ট রাতে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালামের বাড়ি ভাংচুর ও গরুর খামার গরু লুট করে এবং ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গনির বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর চালিয়ে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়া ঐ এলাকায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ একাধিক ব্যবসায়ী ও নিরিহ মানুষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া অনেক নিরিহ মানুষকে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে।
এছাড়া মাকসুদ চেয়ারম্যান ও তার ছেলে শুভ এলাকায় সন্ত্রাসী চাদাঁবাজি করার জন্য একটি বিশাল বাহিনী গড়ে তোলে। গত কয়েক মাস ধরে মাকসুদ ও তার ছেলে শুভ এলাকার অনেক ব্যবসায়ীকে জিম্মী করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করেন।