বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের আমানত খেয়ানত করেন নাই। তিনি আপনাদের ভোটে তিন বার এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর নিজের, তার সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে কিংবা বিদেশে কোন বাড়ি নেই। বেগম খালেদা জিয়া ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। অপরদিকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নেতৃত্বে মাফিয়ারা আপনাদের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। আপনাদের মাথার উপর ঋনের বোঝা চাপিয়েছে। প্রতিটি শিশু আজ লাখ টাকা দেনা নিয়ে জন্ম নেয়। আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষ্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে সেই সম্পদে ভোগ বিলাস করছে। তারা আপনাদের রক্ত চুষে নিয়েছে। তাদের একজন মন্ত্রীর শুধু লন্ডনেই ৩৬০টি বাড়ী আছে বলে পত্রিকায় খবর বের হয়েছে। বিএনপি জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য দায়িত্ব নেয় আর ওই মাফিয়া গোষ্ঠী আপনাদের সম্পদ লুটের জন্য আসে। এটাই হলো বিএনপি এবং মাফিয়া হাসিনার দলের মধ্যে পার্থক্য।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারী) বিকেলে ফতুল্লার চাঁনমারী এলাকায় রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফায় জনসম্পৃক্ততা ও শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান। চানমারী এলাকার ৫ শতাধিক মানুষের মাঝে এসময় কম্বল বিতরণ করা হয়।
অধ্যাপক মামুন আরো বলেন, বিএনপি গত ১৫ বছর মাফিয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে ৬ বছর কারাগারে রাখা হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তিনি বলেছেন আমি আমার জনগণকে ফেলে রেখে বিদেশে যাব না। প্রয়োজনে এদেশেই মরবো। বেগম জিয়া আপনাদের রেখে বিদেশে যান নাই।
তিনি বলেন, জনগণের আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগষ্ট মাফিয়া গোষ্ঠী দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশে চলে গেছে। জুলাই আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। তাদের বিচার এই মাটিতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি এখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেনি। বিএনপি আগামীতে আপনাদের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশের মানুষের সম্পদ আর যেন কেউ লুট করে বিদেশ পাচার না করতে না পারে সেই ব্যব¯’া করবে। এবং বিএনপি দায়িত্ব পেলে জনগনের জন্য কি কি করবে সেই অঙ্গীকারগুলোই ৩১ দফায় উপ¯’াপন করেছে তারেক রহমান। তারেক রহমানের নির্দেশেই আমরা এই শীতে সামান্য সহায়তা নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। বিএনপিকে আপনারা আমৃত্যু পাশে পাবেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল কবির মামুন, নাদিম হাসান মিঠু, জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো : আলী আজগর প্রমূখ। সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অংগসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।