সিদ্ধিরগঞ্জের নবজাতককে দেখতে এসে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস বিষ্ফোরণের বাড়ির নবাজতকের মা’সহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধরা হলেন- নবজাতকের মা সুখী আক্তার (৩৫), তার বোন রহিমা আক্তার (৩০) আরিফ (২০) সাদিয়া আক্তার (১২) জান্নাত আক্তার (১৮) ও রিতু আক্তার (১২)। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এসময় ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়েছে ২০ দিন বয়সের এক শিশু। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জের বার্মাশীল বাঘপাড়া এলাকায় তাজুল ইসলাম ওরফে ক্যাতা হাজির টিনশেড বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এঘটনাটি রাতে ঘটলেও জানাজানি হয় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে।
ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া ফরিদা জানান, দীর্ঘদিন থেকে ওই বাড়িতে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে আছে। এতে পুরো বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় গ্যাসের ঝাঝালো গন্ধ পাওয়া যায়। বাড়িওয়ালা বাড়ির গ্যাস লাইন মেরামতের কাজ ধরলেও পুরো কাজ শেষ করার আগেই এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সবাই আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করতে থাকেন। তারা নিজেরাই আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও দগ্ধ হন ৬ জন। বিষ্ফোরণের সময় দগ্ধ সুমির ছোট্ট শিশুটি তার কাছে থাকায় সে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে দগ্ধ ছয়জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রহিমা নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয়েছে। সুখী আক্তারের শরীরের ১৭ ভাগ ও জান্নাতি আক্তারের শরীরের ১৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। তাদেরকে সাধারণ ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রনি হাওলাদার নামে তাদের এক আত্নীয় জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ বাঘপাড়া এলাকায় টিনশেড বাসাটিতে নুর মোহাম্মদের স্ত্রী সুখী আক্তার স্বপরিবার ভাড়া থাকেন। ১৫-২০ দিন আগে তাদের একটি সন্তান হয়। তাদের সেই সন্তানকে দেখতে স্বজনরা বাসায় এসেছিলেন। রাতে সেই বাসায় হঠাৎ আগুন লাগে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, কি থেকে আগুন লেগেছে তা স্পষ্টভাবে কেউ বলতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল ধরাতে গেলে জমে থাকা গ্যাস বিষ্ফোরণ হয়ে এ অগ্নিকান্ড ঘটে।