বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জের অনেক কুখ্যাত রাজনীতিবিদেরা ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে। ২০০১ সালে যেমন বোরকা পরে পালায় গেছিলো, এবার বোরকা পরে পালানোর সুযোগ পাবে না। সেই সুযোগ জনগন দিবে না। বিচারের কাঠগড়ায় অবশ্যই দাড়াতে হবে।’
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাইনবোর্ড এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে একথা বলেন তিনি।
বিএনপির একদফা দাবি বাস্তবায়ন ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবীতে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ইশরাক হোসেন বলেন, আমি এখানে আমন্ত্রিত ছিলাম না। আমি শুধু একজন কর্মী হিসেবে এখানে এসেছি। আপনারা জানেন- দেশ আজ ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে তার বাসায় অবরুদ্ধ করে রেখেছে সরকার। আমাদের নেত্রীকে সুরক্ষা দিতে না পরালে নিজেদের কী সুরক্ষা দেব? কোন মুখে আমরা বলব গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব? এই প্রশ্নটা আপনাদের কাছে রেখে গেলাম।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ টিকে থাকবে কি না তা নির্ভর করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ওপর। আমরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ একসঙ্গে ঘেরাও করে সরকারের পতন ঘটাবো।
সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, আজহারুল ইসলাম মান্নান, নুর জাহান মাহবুব।
আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।