নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় চার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিন কোটি সতেরো লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে বিভিন্ন মালামাল পাইকারি কিনে সরবরাহের কথা বলে এসব টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে ভূক্তভোগীরা জানান। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ভূক্তভোগী মো. হারুন অর রশিদ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত মো. মালেক (৩৮) সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাশারী (সানারপাড়) এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান।
জানা যায়, ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ (৫৫), মহিদুল ইসলাম মাসুদ (৩৫), মো. সেলিম মিয়া (৪৫), মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫) মুদি মনোহারি পাইকারি ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে মো. মালেকের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মালেক প্রায় সময় এই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মালামাল পাইকারি ক্রয় করে হস্তান্তরকরতেন। আসন্ন রমজান উপলক্ষে ভুক্তভোগীদের প্রত্যেকের দোকানের মালামাল কেনার জন্য মালেক গত ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে হারুন অর রশিদের কাছ থেকে মোট ১ কোটি ১০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, মো. সেলিম মিয়ার কাছ থেকে মোট নগদ ৭০ লাখ টাকা, মো. মহিদুল ইসলাম মাসুদের কাছ থেকে মোট নগদ ৭২ লাখ টাকা, মো. আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে মোট ৬৫ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ৩ কোটি ১৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়।
আভিযোগে বলা হয়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি মালামাল বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও মালেকের কোনো সন্ধান পাননি ব্যবসায়ীরা। এরপর ভুক্তভোগী হারুণ তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মালেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় মালেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ নম্বর ১৪৭০। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করলেও মামলা রেকর্ড না করে বাদীকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি এখনো মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। তাদেরকে আদালতে মামলা করার পরাশর্ম দেয়া হয়েছে।