নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে টেনশন গ্রুপ ও ডেভিল এক্সো গ্রুপের দুই কিশোর গ্যাংয়ের ১৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১১’র ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক মেজর সানরিয়া চৌধুরী। এর আগে রবিবার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- টেনশন গ্রুপের লিডার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে রাইসুল ইসলাম সীমান্ত (২২), সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকার মো. তাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬), সানারপাড় এলাকার আঃ রহমানের ছেলে মোঃ হুমায়ুন হোসেন (২৪), মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার মো. আমিন উদ্দিনের ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (২৬), নারায়ণগঞ্জের বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকার খোকন শেখের ছেলে মো: রাব্বি (২৫), সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে প্রিতম ওরফে রোবায়েতি ইসফাক (২৯), ডেবিল এক্সো গ্রুপের লিডার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিকের ছেলে মোঃ সারিব (১৯), একই এলাকার হারুনের ছেলে মোঃ আশিক (১৯), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ নাঈম (১৯), আজাদ শিকদারের ছেলে মোঃ তুহিন হোসেন (১৮), খন্দকার মোহাম্মদ নুরুল্লাহর ছেলে রোসমান (১৯), মো. বাক্কির ছেলে মোঃ শাহাদৎ (১৯), তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ সৌরভ (২০), নুর নবীর ছেলে মোঃ মাহিন (২০), ইমান আলীর ছেলে মোঃ তুষার (২০), নবীর হোসেনের ছেলে মোঃ সৌরভ (১৯) ও আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ আরিফ (১৯)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১’র উপ-পরিচালক জানায়, গত বছরের ৩১ আগস্ট, ৫ এবং ৬ সেপ্টেম্বর নাসিক এলাকায় মধ্যরাতে পরিচিত কিশোর গ্যাং টেনশন গ্রুপের নেতা সীমান্ত ও তার বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এছাড়াও তাদের সক্রিয় এলাকায় উঠতি বয়সি ছাত্রদের টার্গেট করে মাদকদ্রব্য সেবনে প্ররোচিত করে তাদের গ্রুপে যোগদান করিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। গ্রেপ্তারকৃত টেনশন গ্রুপ ও ডেভিল এক্সো গ্রুপের আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, রাইসুল ইসলাম সীমান্ত টেনশন গ্রুপের দলনেতা এবং মো. সারিব ডেভিল এক্সো গ্রুপের দলনেতা। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা রাস্তায় চলাচলরত জনগণের মালামাল ছিনতাই, বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, মালবাহী ও যাত্রীবাহী পরিবহণে নিয়মিতভাবে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে থাকে। আসামীরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে শক্তির মহড়া বা দাপট প্রদর্শন করে জনমনে ভয়ভীতি বা ত্রাস সৃষ্টি করে। এলাকাবাসী তাদের হিংস্রতা, অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
র্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক আরও জানায়, টেনশন গ্রুপের দলনেতা রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ও সদস্য মোঃ প্রিতম রোবায়েতি ইসফাক এবং ডেভিল এক্সো গ্রুপের সদস্য মোঃ আশিক ও মোঃ নাঈম বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা ও ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।