ফতুল্লায় ট্রাক লুটের প্রতিবাদ করায় কিশোরগ্যাং জিনিয়াস গ্রুপের সদস্যরা এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে রামদা ও ছুরিসহ ফাহিম নামে ওই গ্রুপের এক সদস্যকে আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় ফতুল্লার মাহমুদপুর করিম মার্কেট এলাকায় এঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে কিশোরগ্যাং জিনিয়াস গ্রুপের রিয়াজ দলবল নিয়ে ফতুল্লার মাহমুদপুর করিম মার্কেট এলাকায় একটি নির্মানাধীন ভবনের সামনে থেকে পাথর ভর্তি ট্রাক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় ট্রাক চালকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও এগিয়ে আসে। এসময় কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীরা ট্রাক ছেড়ে দিয়ে উপস্থিত লোকজনদের চলে যেতে বলেন, নয়তো কুপিয়ে সবাইকে টুকরো করে হত্যার হুমকি দেয়। তখন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে সুরুজ মিয়া নামে একজন এর প্রতিবাদ করেন। এতে সন্ত্রাসীরা তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে এলোপাথারী মারধর করে মাথায় ও পিঠে ছুরিকাঘাত করেন। তখন এলাকাবাসী তাদের ধাওয়ার করে একজনকে রামদা ও ছুরিসহ আটক করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যায়। এরপর আটককৃতকে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেন। স্থানীয়রা এসময় আহত সুরুজ মিয়াকে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
স্থানীয়রা জানান, জিনিয়াস গ্রুপের লিডার রিয়াজ। তার সহযোগী সহযোগীরা হল- শুভ, হাসান, সোহান, সোহাগ, বাবু, মাইন উদ্দিন, ফাহিম, জাকির ও নূর মোহাম্মদ নাঈমসহ আরো ২০/৩০ জন। তাদের বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর হবে। তারা সাইনবোর্ড, মাহমুদপুর, কদমতলী, ডেমরা, সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়, মৌচাক ও এর আশপাশের এলাকায় প্রকাশ্যে ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজি করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা বেপরোয়াভাবে নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত। কোন অপরাধেই তারা ব্যর্থ না হওয়ায় তাদের গ্রুপের নাম জিনিয়াস গ্রুপ রাখা হয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন আছে।