নারায়ণগঞ্জ জেলা সংসদের উদ্যোগে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রাক্তন ও বর্তমানদের এক পুনর্মিলনী সভা হয় শুক্রবার বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক সংহতি ঘোষ মম। সঞ্চালনায় ছিলেন অর্কিতা রায় চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির সাবেক সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তামজিদ হায়দার চঞ্চল। বক্তব্য রাখেন, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড এডভোকেট মন্টু ঘোষ, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা পার্থ প্রীতম মিত্র, চিত্রা ঘোষ পরমা, মোঃ আবির, সাবেক ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ভবানী শংকর রায়, দুলাল সাহা, মৈত্রী ঘোষ, দীপক ভৌমিক প্রমূখ।
কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ভাষা আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৮-৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধসহ এদেশের সকল ঐতিহাসিক ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়ন ছিল একেবারে সামনের কাতারে। ১১ দফা আন্দোলনের প্রণেতা ছিল ছাত্র ইউনিয়ন। জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন ও এরশাদ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও ছাত্র ইউনিয়ন ছিল প্রথম সারিতে। আজকে দেশে একটা লুটেরা গোষ্ঠীর শাসন চলছে। মুক্তিযুদ্ধের আগের আওয়ামী লীগ আর আজকের আওয়ামী লীগ একেরারেই আলাদা। দেশে একটা লুটপাটের রাজত্ব চলছে। টাকা পাচার, ব্যাংক লুট চলছে। মানুষের মত প্রকাশের অধিকার, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। দেশে একটা এক দলীয় স্বৈরতন্ত্র চালু করা হয়েছে। জনগণ এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। তাই ছাত্র ইউনিয়নকে আজ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নয় – বাম বিকল্প গড়ে তুলতে হবে। এটা শুধুমাত্র ছাত্র ইউনিয়নের একার কাজ নয় – অন্যান্য বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোকেও এই আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। মেহনতি মানুষের পক্ষে একটা ঐক্যবদ্ধ বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে হবে। মুখে ঐক্য ঐক্য বললে ঐক্য হবে না – আশা করি আন্দোলনের ধারায় ছাত্র ইউনিয়ন আবারো ঐক্যবদ্ধ হবে।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন ভবানী শংকর রায়, পিন্টু সাহা, মোঃ সেলিম এবং শুরুতে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন।