বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আওয়ামীলীগ বড় স্বৈরাচার। তারা এতদিন ফ্যাসিষ্ট শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করেছিলো। তাই তারা প্রাণভয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। শুধু প্রধানমন্ত্রীই নয়, তার গোষ্ঠিসহ পালিয়ে গেছে। তাদের মন্ত্রী-এমপিরা এমনকি গ্রামের কর্মীরাও পালিয়ে গেছে। ২০০১ সালে আমাদের এখানকার (নারায়ণগঞ্জের) গডফাদার পরাজিত হয়ে রাতের আধারে পালিয়ে গেছে। এবারও এত হুংকার, এতো অস্ত্র, এতো গুলি, এতকিছু করলো, আমাদেরকে কত নির্যাতন করেছে। কিন্তু ৫ তারিখের পরে কি তাকে আর খুজে পাওয়া গেছে? সেও পালিয়ে গেছে। এগুলো হলো চোর-ডাকাত আর কাপুরুষ। এরা বারবারই পালিয়ে যায়। এদের হুঙ্কারে এদেশের মানুষ ভয় পায় না। কারণ তারা দূর্ণীতিগ্রস্থ, খারাপ মানুষ হিসেবে চিহ্নিত।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এনায়েতনগর এলাকায় ওয়ার্ড বিএনপির এক ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গিয়াসউদ্দিন এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ডি.এইচ বাবুল এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ হালিম জুয়েল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, সাবেক আহ্বায়ক মন্তু, যুবদল নেতা ডা. মঞ্জুরুল আলম মুসা, বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন ও আমির প্রধান প্রমূখ।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এই এমপি বলেন, বিএনপি সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। স্বৈরাচারী হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। জনগণ মনে করে শেখ হাসিনার পতন মানেই বিএনপির বিজয়। সেই কারণে বিএনপির কাছে এদেশের মানুষ অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। বিএনপি গণতন্ত্র দিবে, আইনের শাসন দিবে, মানুষের মৌলিক অধিকার দিবে, রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি বন্ধ করবে, মানুষের সুখ-দুঃখ দেখবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশে বসে এই রাষ্ট্র মেরামতে-সংস্কারে ৩১ দফা কর্মসূচী জাতির সামনে পেশ করেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকাররের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ২০১৪, ১৮, ২৪ সাল গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার সম্পুর্ণভাবে নষ্ট করেছে। এ সরকারের কাছে আমাদের প্রথম দাবি- গণতন্ত্রকে উদ্ধার করা। অবাধ সুষ্ঠু একটা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ পছন্দমত তাদের নেতা নির্বাচন করবে। স্বৈরাচার এদেশের নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেছে, গণহত্যা করেছে, এদেশের অর্থ-সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। জনগণের প্রত্যাশা এই দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এরপর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নষ্ট করেছিল। কেউ ন্যায় বিচার পায় নাই। এখন মানুষের প্রত্যাশা ন্যায় বিচার যাতে হয়। বিচারালয় যেন আর ক্ষমতাসীনদের দখলে না থাকে। লুটপাট করে যাতে আর কেউ বিদেশে টাকা পাচার করতে না পারে।