স্টাফ রিপোর্টার
‘মাকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে’ মেয়ের এমন অভিযোগে সোনারগাঁয়ে মৃত্যুর দুই মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মমতাজ বেগম নামের এক নারীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। লাশ উত্তোলনের পর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মো. হাফিজুর রহমানের উপস্থিতিতে পিরোজপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা এলাকার সামাজিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
চলতি বছরের গত ১৮ এপ্রিল রাতের কোন এক সময় মমতাজ বেগমের মৃতু হয়। মমতাজ বেগমের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন থাকায় তার মেয়ে জিনাত ফাহিমা মুন্নির সন্দেহ হয়। এ মৃত্যু রহস্য সৃষ্টি হওয়ায় নিহতের মেয়ে জিনাত ফাহিমা মুন্নি বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে গত ২৭ এপ্রিল একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি জিনাত ফাহিমা মুন্নি উল্লেখ করেন, তার মায়ের সঙ্গে তার নানির বাড়ির লোকজনের জমি সংক্রান্ত সমস্যায় পারিবারিক কলহ ছিল। এ নিয়ে প্রতিদিন ঝগড়া লেগে থাকতো। এছাড়াও তার মায়ের নগদ টাকা ও সম্পত্তি নিয়ে তার পুত্রবধুর সঙ্গেও কলোহ ছিল। গত ১৮ এপ্রিল রাতে কোন এক সময় তার মায়ের মৃত্যু হয়। এ মৃত্যু খবরটি আত্মীয়-স্বজন ও তাকে দীর্ঘ সময় পর জানানো হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে জিনাত ফাহিমা মুন্নি ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মায়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান ও ডান চোখ রক্তাক্ত ফুলা পান।
নিহতের বাবা খালেক প্রধানের পরিবার এ মৃত্যুকে স্ট্রোক বলে জানিয়েছেন। এসময় শরীরে চিহ্ন থাকায় জিনাত মৃতদেহের ময়না তদন্ত দাবি করেন। এক পর্যায়ে নিহতের বাবার বাড়ির লোকজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দ্রুত নিহতের লাশ দাফন করেন।
জিনাত ফাহিমা মুন্নির দাবি, তার মাকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। কাউকে নির্দিষ্ট করে মামলা দেওয়া হয়নি। মায়ের মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটতের চেষ্টা করেছি।
ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে, বলে জানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মোস্তফা।