নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক ডিআইজি বিপ্লব কুমার ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদসহ ৬৫ জনের নামে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আদালতে নির্দেশে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিতে আহত যুবক মো. মিরাজ হোসেন (২৬) বাদী হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম বলেন, আদালতের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি রুজু করা হচ্ছে। মামলাটি বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই রেকর্ড সম্পুর্ণ হবে।
মামলায় অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে- সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান হানিফ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফরিদা ও রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ মামলায় অজ্ঞাত আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাদী মো. মিরাজ হোসেন মামলার আবেদন করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, বাদি মো. মিরাজ হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৮ জুলাই বেলা ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় যায়। এ সময় ১ থেকে ১২ নং আসামীর নির্দেশে সন্ত্রাসীরা গুলি করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন ও মিছিলে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে তার চিকিৎসা করানো হয়। আসামীগণের ছোড়া ছিটা গুলি এখনো বাদীর দুই পায়ের রানে ও রানের পিছনের মাংস পেশীর ভেতরে রয়েছে। এ ছোড়া গুলি এখন বের করা সম্ভব হয়নি বিধায় বাদী জীবন মরণ সন্ধিক্ষনে দিনাতিপাত করছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম জানান, আদালত মামলাটি থানায় এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।