২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে শীর্ষ করদতা হলেন গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ -১(রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এবং তার জ্যেষ্ঠ পুত্র তরুণ শিল্পদ্যোক্তা ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। সিনিয়র সিটিজেন ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতা হয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী ও ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে দেশের ২য় শীর্ষ করতাদা হয়েছেন গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ২০২২-২৩ করবর্ষের সেরা করদাতাদের নাম প্রকাশ করেছে। ‘সেরা করদাতাদের ট্যাক্সকার্ড দেওয়া হবে। গত কয়েক বছর যাবত তারা দেশের সেরা করদাতা হয়ে আসছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্য কোন জনপ্রতিনিধি এই তালিকায় নেই বলে জানা গেছে। গোলাম মর্তুজা পাপ্পা নারায়ণগঞ্জের তরুণ সমাজের গর্ব। তিনি টানা চতুর্থবারের মতো নারায়ণগঞ্জে এই সুনাম এনে দিয়েছেন। রূপগঞ্জে গোলাম মর্তুজা পাপ্পার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। শিক্ষা খেলাধুলা বিনোদন ধর্ম সামাজিক সাংস্কৃতির উন্নয়নে তার ভূমিকা রয়েছে।
এদিকে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোদ্ধা হিসেবে গোলাম দস্তগীর গাজী কাজ করছেন। তার পদচারণায় বদলে গেছে রূপগঞ্জের উন্নয়ন চিত্র। তিনি নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবার গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে লড়ছেন। সংসদ নির্বাচনের আগে গাজী পরিবারের এই দুই সদস্য সেরা করদাতা হওয়ায় রূপগঞ্জে আনন্দের জোয়ার বইছে। গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী হাছিনা গাজী। তিনি তারাব পৌরসভার মেয়র। গোলাম দস্তগীর গাজীর পুত্রবধূ একজন বুয়েটের শিক্ষকা। গাজী পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সংগঠনে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
গাজী গ্রুপ সুত্রের খবর ১২ বছর যাবত দেশের সেরা করদাতা হয়ে আসছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৪ আগস্ট বৃহত্তর ঢাকা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি পড়াশুনা শুরু করেন পুরান ঢাকার বিদ্যাপিঠে। ছাত্র থাকা কালীন সময়ে গোলাম দস্তগীর গাজী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নিবার্চন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১/১১ এর সব ঘটনায় জীবনবাজী রেখে লড়াই করেছেন তিনি। এখনও তিনি দলের জন্য রাজপথে আছেন। তার দাপটে বিরোধী দল মাঠ ছাড়া। তিনি ছিলেন গেরিলা যোদ্ধা। তিনি ২০২০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৪ সালে দেশের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ও দেশের শিল্প খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্লাস্টিক ও রাবারজাত পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা স্থাপন করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি করর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে কাকরাইল, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগ, মৌচাক, ইস্কাটন ও মগবাজার এলাকা থেকে কমিশনার নির্বাচিত হন।
তিনি এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্রীড়া অঙ্গনে গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরাট অবদান রয়েছে। তিনি বিসিবির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। মন্ত্রীপুত্র গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা এখন বিসিবির পরিচালক। বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তিনি। রূপগঞ্জে ছাত্র ও যুব সমাজের আইকন তিনি। রূপগঞ্জে দলের জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন গোলাম মর্তুজা , নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখছেন তিনি । তাদের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। তাদের শীর্ষ করদাতা হওয়ার সুনাম আগামী নির্বাচনে নৌকার জয় সহজ করবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত: একের পর এক দেশের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে রূপগঞ্জের গাজী পরিবার। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তারা। বদলে দিচ্ছেন দেশের অর্থনীতির চাকা। প্রতিষ্ঠা করছেন নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান। রূপগঞ্জসহ সারাদেশে দূর করছেন বেকার সমস্যা। কর দিচ্ছেন নিয়মিত। পাচ্ছেন কাজের স্বীকৃতি।