নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বে পিরোজপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ডে একটি ৪তলা বিল্ডিং জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। এসময় বাড়ির লোকজনকে মারধর করে টেনে হেছড়ে বাইরে বের করা দেয়া হয়। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকারে পাচ্ছেন না তারা। রোববার (৫ জানুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী হাজী মমতাজ বেগম। এসময় তার স্বামী তমিজ উদ্দিন, ছেলে মাহবুব হোসেনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ বেগম বলেন, ২০০১ সালে তিনি তার জমিতে ৪তলা বিল্ডিং করে বসবাস করছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী সকারের পতনের পর সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার ছেলে যুবদল নেতা খায়রুল ইসলাম সজিবের নেতৃত্বে জুয়েল, রিপন, আলী নূর, খোরসেদ, বাবু সহ অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জন সন্ত্রাসী প্রথমে মমতাজ বেগমের ভাড়া বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। পরে ৬ আগস্ট ৪ তলা বিল্ডিংয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট চালায়। এবং মমতাজ বেগম সহ পরিবারের লোকজনদের মারধর করে টেনে হেছড়ে বের করে দিয়ে বিল্ডিং বাড়ি দকল করে নেয়। এছাড়া বাড়ির আম, জাম কাঁঠাল ও কাঠ গাছসহ প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, বাড়ির মেইন গেইট সংলগ্ন ভাড়া প্রদানকৃত ৩টি দোকান ভাংচুর করে উচ্ছেদ করে ৭ থেকে ৮ ফুট উঁচু দেয়াল নির্মান করে দেয়। এবং বাড়ির মেইন গেইটটি ইটের দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বিল্ডিংয়ের ভিতরের কেচিগেট সহ সকল রুমে তালা লাগিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর প্রতিকার চেয়ে ১১ আগস্ট সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৮ আগস্ট সোনারগাঁও থানা এবং ২৩ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।
মমতাজ বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, এখন আমাদের বসবাসের কোন জায়গা নাই। পরিবার নিয়ে বাইরে অবস্থান করতে হচ্ছে। আমি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষপ কামনা করছি যাতে আমি তদন্তপূর্বক আমার বাড়ি ফিরে পাই।
অভিযোগে বিষয়ে যোগাযোগ করতে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে সাংবাদিকরা কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করে কেটে দিয়েছেন।