আমরা যদি খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে না পারি তাহলে এ দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তার মাধ্যমে দেশ দাসত্বে পরিণত হবে। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই কোনো দাসত্ব চাই না। আমরা ভারত বিদ্বেষী নই। আমাদের নেত্রীর মুক্তি লড়াই কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়। বক্তৃতা করে কখনো কোনো আন্দোলন সফল হয়নি। আন্দোলন সফল করতে রাজপথে কঠোর অবস্থান থাকতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হলে এই সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না সেই কারণে খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে এটি একটি পরিকল্পিত মার্ডার কেস হবে। আমাদের একটি দাবি, সে দাবি আমাদের নেত্রীর মুক্তি। এ দাবিতে এখন থেকে আন্দোলন শুরু হবে। শেখ হাসিনা বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রেখেছেন। যে মামলায় তাকে বন্দি করা হয়েছে এটা কোনো মামলাই না। এমন মামলায় বহু লোক জামিন ও মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মামলাটিযে মিথ্যা। সময় আসলে মিথ্যা মামলার দেওয়ার অভিযোগে ও অনেকের জেল খাটতে হবে। এই মামলায় কোন কারনে জেল হওয়ার কোন কারণ নেই, এই অভিযোগটাই ভুয়া, মিথ্যা। খালেদা জিয়াকে জেল দেওয়ার কারণ সরকারের গুরুদেব যারা এ সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে তাদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশের সাথে ভারতের রেল যোগাযোগের বিষয় নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সামনে জোরালো আন্দোলন করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো, বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান ও মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু।