নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, এই প্রচন্ড গরমে টেম্পারেচার মেশিন চাষাঢ়া থেকে শেখ রাসেল পার্কে ২/৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম তাপ ছিলো। পার্কে প্রবেশে কোন টাকা নেয়া হয় না। অনেকে বলেছিলো সামান্য টাকা নেয়ার জন্য, আমি সেটাও করি নাই। এখান থেকে (রাসেল পার্ক) টাকা কামাতে হবে এমন অর্থ প্রয়োজন নাই। প্রতিদিন সকালে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগি ও সাধারণ মানুষ হাটা হাটি করে। সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় সবুজ শ্যামল জনপদ শহর হবে নিরাপদ স্লোগানে বন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেওভোগ শেখ রাসেল পার্কে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী উদ্বোধনের পূর্বে এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
‘শহরের একমাত্র স্বস্তি নিঃশ্বাসের স্থান শেখ রাসেল পার্ক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নোংরা বস্তি থেকে পরিবেশ বান্ধব পার্ক নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ করেছে সিটি কর্পোরেশন। দলমত নির্বিশেষে পার্কের নাম করা হয়েছে শেখ রাসেলের নামে। আগে পার্ক করেছি তারপর ট্রাষ্ট্রের থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে। স্বস্তি নিঃশ^াসের অন্যতম শীতলক্ষ্যা নদীটি প্রায় মৃত। ২০০৪ সাল থেকে এখানে সাধারণ মানুষের জন্য পার্ক করার পরিকল্পনা করেছিলাম। একমাত্র ফ্রেশ অক্সিজেনের জন্য পার্ক করার উদ্যোগ নেই। তৎকালীন রেলমন্ত্রী আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন।
তিনি বলেন, পার্ক নির্মাণে পর সাধারণ মানুষ পরিবার নিয়ে এখানে সময় কাটাতে আসছেন। শেখ রাসেল পার্কের চারিদিকে প্রচুর গাছ রয়েছে, এতে অনেক হাওয়া বাতাস বয়ে যায়। পার্কে ভিতরে বিভিণ্ন সংগঠন ও স্কুল থেকে বৃক্ষরোপন করেছেন। সাধারণ মানুষ অনেক গাছ পরিচর্যায় করেন এটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে।
২০টি তাল গাছ রোপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হারুণ অর রশিদ, আল আমি মোল্লা, মাসুম, কামরুল হুদা, শামসুল হক প্রমুখ।