রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অনলাইন ভিডিও গেম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর: শিরীন হাবিব সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আরও দুই মামলায় শ্যোন এ্যারেষ্ট আইভী রূপগঞ্জ সংস্কারের প্রত্যয়ে ইমাম সম্মেলন সোনারগাঁওয়ে প্রত্ন সম্পদ সংরক্ষণ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী হ ত্যা মামলায় ২ জনের মৃ ত্যু দ ন্ড বিএনপি নেতা রিয়াদ চৌধুরী দল থেকে বহিস্কার: থাইল্যান্ড পালানোর পথে আটক রূপগঞ্জে বায়ুদূষণকারী প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষকদলের কমিটি গঠন: আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন ও সদস্য সচিব সোহেল রহমান আড়াইহাজারের অটোরিকশা চালককে হ ত্যা র ঘটনায় ৩জনের মৃ ত্যু দ ন্ড পরীক্ষা কেন্দ্র ভাঙচুররোধে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: প্রশংসায় ভাসছেন ডিসি

নির্বাচনে মনোনয়ন বিক্রি হয় কোটি কোটি টাকার: গিয়াস উদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৭৬ Time View

বিএনপির গঠনতন্ত্রে কি বলে প্রশ্ন রেখে জেলা বিএনপির নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচনে মনোনয়ন বিক্রি হয় কোটি কোটি টাকার। এই দেশ এজন্য স্বাধীন করেছি? এজন্য আমরা আন্দোলন করি সংগ্রাম করি? ভালো মানুষের অভাব নাই বিএনপিতে। ভালো মানুষের অভাব নাই অন্য কোন দলেও। কিন্তু ভালো মানুষগুলো টাকা না থাকলে সমস্যা। সে নমিনেশন পাবে না। এমনকি টাকা গাট্টি নিয়ে দিতে হবে। বিকি কিনি হয় নমিনেশন। এমন রাজনীতি যদি দেশে থাকে বাংলাদেশে কখনো ভালো সূর্য উদয় হবে না। এজন্য আমি আজকে খোলাখুলি ভাবে আপনাদের সাথে কথাগুলি বলছি। আমি গিয়াস উদ্দিন। আমি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। বিএনপির কোন নেতাকর্মী হিসেবে না। বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করে দিতে পারে। এটার জন্য আমি কেয়ার করি না। কারণ আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো আমি যুদ্ধ করে এ দেশটা স্বাধীন করেছি। কারো কাছে আমি বন্ধক থাকার মানুষ নয়। কারো কাছে আমি মাথানত করার মানুষ না।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি আয়োজিত নৌবিহার অনুষ্ঠান শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এসব কথা বলেন। গিয়াসউদ্দিনের এ বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

গিয়াসউদ্দিন বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এ দল গঠিত হবে এবং পরিচালিত হবে। সেটা কি চলে? একদম স্পষ্ট না। যদি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের এ দল চলতো তাহলে এই নেতাকর্মীরা যারা হতাশ, যারা দুঃখ বেদনা নিয়ে, একরাশ বুকে জ্বালা নিয়ে বক্তৃতা করলেন এবং বিভিন্ন সময় আমার সাথে কথা বলে। এই দুঃখ দুর্দশা এতদিন থাকতো না। কেন থাকতো না? আপনার নেতা নির্বাচিত করার ক্ষমতা যদি আপনার থাকতো, আপনার ভোটে যদি সর্বস্তরে নেতৃত্ব তৈরি হতো আপনাকে মর্যাদা দিতে নেতা বাধ্য ছিলো। আপনাকে অবজ্ঞা করে কোন নেতা চলতে পারত না। নেতা ইচ্ছেমত দলকে পরিচালনা করতে পারত না। নেতা ইচ্ছে করলে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করতে পারত না। এই গণতন্ত্রটা নাই বলে আজকে প্রকৃত নেতার কোন মূল্যায়ন নেই। প্রকৃত নেতাদের কোন মূল্যায়ন নেই এবং নেতা যারা হয় তারা হয়ে যায় শাসকের মতো স্বৈরতান্ত্রিক- যে আমার ইচ্ছা, আমি যা ইচ্ছা তা করব। জবাবদিহিতা করার তো কোন জায়গা নেই। সেজন্য যা ইচ্ছা তাই করে।

গিয়াসউদ্দিন বলেন, দলের মধ্যে গণতন্ত্র থাকবে না। আর সারাদিন চিৎকার করবো আমরা রাষ্ট্রে গণতন্ত্র চাই। এটা চাইলেই হয়ে যাবে? এই চাওয়াটাওতো অন্যায়। নিজের দলে গনতন্ত্র নাই, আর রাষ্ট্রের কাছে গণতন্ত্র চাই এটা কি হতে পারে? হতে পারে না। গঠনতন্ত্র তৈরি হয়েছে দল পরিচালনা করার জন্য। সেখানে লেখাও হয়েছে সর্বস্তরের কমিটি নির্বাচিত হতে হবে কাউন্সিলর এর ভোটের মাধ্যমে। এই যে অধিকার আমাদেরকে না দিয়ে অ্যাপয়েন্টেড নেতাকর্মী বানানো হয়। কেন্দ্র থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যেনো চাকরি করি আমরা। কেউ কারো গোলামি ও করো দাসত্ব করি। অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিলে ওই বাড়িতে ফুলের মালা ফুলের তোড়া নিয়ে নেতার ভিড় জমে যায়। সেই নেতা হোক সংগ্রামী হোক সংগ্রাম করে নাই, হোক সে অসৎ কিন্তু সেতো অ্যাপয়েন্টেড হয়েছে একটা পদ পেয়েছে। সবাই একেবারে ফুলের তোড়া নিয়ে পড়ে কি জন্য? তার কাছে গেলে সে আবার একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে পারে। সে আবার একটা পদ পদবী পেতে পারে। নিলজ্জ বেহায়ার মতো অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে জুনিয়রের কাছে ফুল দিতে হয়। জুনিয়ারের কাছে গিয়ে তোষামোদি করতে হয়। এই অবস্থা চলতে পারে না একটা মুক্তিযোদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে। আজকে আমি আপনাদের সামনে খোলাখুলি বক্তৃতা করতেসি আমি বহিষ্কারও হতে পারি। আই ডোন্ট কেয়ার। আমি এটাকে কেয়ার করি না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। জীবনবাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
Translate »