নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস কারখানা পরিদর্শন করেছেন ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রদূত মি. মাইকেল মিলার। গতকাল সোমবার দুপুরে বিকেএমইএ’র নেতৃবৃন্দ’র সাথে তিনি কারখানাগুলো পরিদর্শন করেন। নারায়ণগঞ্জের চাষাড়াস্থিত বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইকমিশনার মাইকেল মিলার সাথে বিকেএমএইএর নেতৃবৃন্দের বৈঠক করেন।
এ সময় ইউরোপীয় উইনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বাংলাদেশের শ্রম আইন সংশোধন করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তবে আইন সংশোধনের বিষয়টি যেন স্বচ্ছতা ভিত্তিতে হয়, সেটি মনে করিয়ে দেন। ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামিতে ইইউর বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার হবে। বর্তমান সুবিধার আওতা বাড়াবে ইইউ। সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পোশাক খাত। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে ইইউ। তবে এলডিসি থেকে উত্তরণ যেন সুষ্ঠু হয় ।
মাইকেল মিলারে সাথে বৈঠক শেষে বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এলডিসি গ্রেজুয়েশন সময় পার হতে চললে প্রস্তুুত নয় দেশের ব্যবসায়ীরা। এজন্য আরো পাঁচ বছরের সময় চেয়েছে গার্মেন্টস সেক্টরের ব্যবসারা। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী ২০২৬ সালে পার্লামেন্টে পরিবেশ আইন পাস করতে যাচ্ছে। এ আইনটি পাস হলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সংকটে পড়বে। তাই আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাস্ট্রদূতের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। যাতে আইন পাসের আগে সরকারের সাথে কথা বলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আবেদনের বিষয়টি তুলে ধরেন। ইইউ রাষ্ট্রদূত আমাদের আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের সহযোগিতা করবেন। এই আইন পাস হলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বাজার হারাবে বলে আমারা আশঙ্কা করছি।
বিকেএমই-এর নির্বাহী সভাপতি ফজলে এহসান শামীম বলেন, ইউ পার্লামেন্ট ২০২৬ সালে পরিবেশ আইন পাশ হলে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। যার জন্য প্রয়োজন জিএসপি প্লাস সুবিধার আওতায় ভুক্ত হতে হবে। ইইউ পার্লামেন্টে ২০২৬ পরিবেশ আইনের সেইফ গার্ড আর্টিকেল ২৯ আছে কারেকশন করার দাবি জানিয়েছেন বলেন, বায়ারদের ইচ্ছে অনুযায়ী বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর এর্কড এল্যায়েন্সেরন শর্ত অনুযায়ী সেক্টর কপ্লায়েন্স, লেবার সিকিউরিটিসহ অবকাঠামো উন্নয়ন, কাজের কর্মপরিবেশ, ডে কেয়ার সেন্টারসহ শ্রমিকদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছেন। এখন যে আইনের মাধ্যমে শর্ত আসছে সেটি পুরণ করতে হলে কার্যাদেশের মুল্য বাড়াতে হবে। তবেই আমাদের পক্ষে এসব শর্তাধিন পুরণ করা সম্ভব।
এর আগে নারায়নগঞ্জের মদনপুরে অবস্থিত ইপিলিয়ণ গ্রুপের ইপিলিয়ন ফ্যাশন র্গামেন্টস ও মেট্রো গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করেন ইইউ রাষ্টদূত। এসময় তিনি গার্মেন্টস দুটির কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের জন্য রাখা সুবিধাধি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন মাইকেল মিলার। এসময় ইপিলিয়ন গ্রুপের ডিরেক্টর জুনায়েদ আবু সালেহ মুসা, হেড অব কর্পোরেড শাহ আলমসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।