বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকা-আখাউড়া লংমার্চ: রূপগঞ্জে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন রূপগঞ্জে শিশুপুত্রকে পানিতে ফেলে হত্যার ঘটনায় ঘাতক বাবার জবানবন্দী বন্দরে ৪ টি ইটভাটাকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা বিএনপি সব মানুষের কাছে জবাবদিহিতে বিশ্বাস করে: মামুন মাহমুদ পরিবারের আপত্তির মুখে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়নি নিহত সোলাইমানের তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশীকে কুপিয়ে জখম নারায়ণগঞ্জ সদর থানা জাতীয় নাগরিক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত দেশে প্রতিদিন ২০ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য বিক্রি হয়: মোস্তাফিজুর রহমান জমকালো আয়োজনে মুগ্ধ করেছে এসএসসি ও এইচএসসি ২০০৯-১১ ব্যাচের গেট টুগেদার নারায়ণগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিহত

ডিজিটাল ভূমি জরিপে মামলা মোকদ্দমা একেবারেই কমে আসবে-ভূমি উপদেষ্টা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৬১ Time View
ডিজিটাল ভূমি জরিপে মামলা মোকদ্দমা একেবারেই কমে আসবে-ভূমি উপদেষ্টা
ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ কার্যক্রমের ফলে ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা, ভূমি নিয়ে বিরোধ, মারামারি, মামলা মোকদ্দমা একেবারেই কমে আসবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ ফেরীঘাট এলাকায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ কার্যক্রম’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্রামে যখন পূর্বে সার্ভে করা হতো তখন মাপজোক ঠিক হওয়া নিয়ে কিংবা জমির পরিমাপ ঠিক থাকবে কিনা তা নিয়ে ভয় কাজ করতো। এই বিপত্তিগুলো সৃষ্টি হতো বলে গ্রামগঞ্জে অস্থিরতা তৈরি হতো। পাশাপাশি মারামারি, মামলা-মোকদ্দমা হতো। এর ফলে সমাজে বড় একটি অংশের মানুষ ভূমি জরিপ নিয়ে ধারণা না থাকার কারণে দিনের পর দিন ভোগান্তির মধ্যে পড়তো। এ থেকে পরিত্রান পেতে আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রযুক্তির মাধ্যমে জমি সার্ভে করার কারণে খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে মিলিমিটার পর্যন্ত নির্ভুল মাপজোক পাওয়া সম্ভব হবে। এর ফলে জমি নিয়ে সমাজ থেকে অস্থিরতা দূর হবে।
ভূমি উপদেষ্টা আরও বলেন, পূর্বে জমির খতিয়ান পেতে অনেক সময় লাগতো। পাশাপাশি তা পেতে অনেক অস্বচ্ছতার মধ্যে পড়তে হতো। তা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। এখন আমরা বাসায় বসে অনলাইনের মাধ্যমে জমির খতিয়ান পেয়ে যাবো। পাশাপাশি জমির খাজনা দেওয়াটাও সহজ হয়ে যাবে। প্রায়সময় আমরা শুনি ১০০ টাকার খাজনা দিতে গিয়ে ১ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। তাছাড়া আমরা কল সেন্টার চালু করেছি। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে একজন মানুষ যেকোনো অভিযোগ করার সুযোগ পাচ্ছে এবং অভিযোগ পাওয়া মাত্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সারাদেশে এই কার্যক্রম শুরু করতে আমাদের সর্বমোট ৩৮৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে এবং ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে এর কার্যক্রম শেষ হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব ও ইডিএলএমএস প্রকল্প পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
Translate »