নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনু হত্যামামলায় জামিনে মুক্ত হলেন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব রাসেল মাহমুদ। সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গত বছরের ৭ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় রাসেলকে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। এ নিয়ে মামলার ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনই জামিনে মুক্ত হলেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর নরায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পশ্চিম পাশে হেলেনা সেঞ্চুরি অ্যাপার্টমেন্টের লিফটের ফাঁকা জায়গার নিচতলা থেকে যুবদল নেতা আনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। আনু ওই ভবনের নবম তলায় ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাসেল ও নিহতের ছেলে-মেয়ে ও শ্বশুর বাড়ির স্বজনসহ ৮ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন আনুর বড় ভাই বাদশা।
নিহত আনু নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের ছোট ভাই।
জামিনে মুক্ত হয়ে রাসেল মাহমুদ বলেন, একটি জমি নিয়ে আনুর সঙ্গে তার ভাইদের দ্বন্দ্ব ছিল। তার জেরেই আনুকে হত্যা করা হতে পারে। যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।
নিহতের স্বজনদের দাবি, আনুর সাবেক স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে সম্পত্তির লোভে তাকে হত্যা করেছে। কিন্তু আনোয়ার হোসেন আনুর মেয়ে প্রেরণার দাবি, তার বাবা মাদকসেবী ছিলেন। এ নিয়ে বাবা-মায়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। এক পর্যায়ে তার মা তার বাবেকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যাওয়ায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।