সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা শুরু করে ১নং ওর্য়াড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ও তার ভাই কামালসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে তারা এ হামলা চালিয়ে আসছে। সেই থেকে শুরু হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ বাজার জবর-দখল ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ। এতে আতঙ্ক দেখা দেয় ভুক্তভোগী জনসাধারণের মধ্যে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কার্যক্রম শিথিল থাকার কারণে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছিল সালাহউদ্দিন, কামাল ও তাদের সহযোগীরা। ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন ইতিপূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের শেল্টারে থেকে সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকায় চাঁদাবাজি ও প্রভাব খাটাতো। বর্তমানে প্রভাবখাটাচ্ছে বিএনপির। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ বাজারের দোকান থেকে চাঁদা আদায়কালে কামালকে হাতে নাতে ধরে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। পরে চাঁদাবাজ কামালকে গনধোলাই দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থিত সেনাবাহীনির ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
ভূক্তভোগীরা জানায়, আওয়ামীলীগ সরকারের পদত্যাগের পর নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুলের বেশ কয়েকটি অস্থায়ী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে সালাউদ্দিন, রওশনসহ তার সহযোগীরা। তার বাড়ির আশপাশের বাসিন্দাদের উপরও অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ইতিপূর্বে তারা আবু সুফিয়ান নামে এক যুবককে মারধর করে রক্ত জখম করেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ ফল ব্যবসায়ী আনোয়ারসহ প্রায় ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সালাউদ্দিনের দাবি প্রতি মাসে তাকে ভাড়া দেওয়া লাগবে। এতে পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অভিযোগ রয়েছে সালাউদ্দিনের ছেলেরা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতিক মজিবুর রহমানের ব্যনারে বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিতেন। রদবদলের পর এখন তারা নিজেদের বিএনপি নেতা দাবি করে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হচ্ছেন। বিতর্কিত এই নেতা তার ছোট ভাই কামাল ও অন্যান্য সহযোগীরা অস্থায়ী দোকানপাট দখলে নিয়ে ব্যাবসায়ীদের হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা উত্তোলন করছেন বলে জানায় এলাকাবাসী।
চাঁদা আদায়কালে শুক্রবার কামালকে আটক করে শিক্ষার্থীরা প্রায় এক কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজের ভেতর সেনাবহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যায় চাঁদাবাজ কামালকে। এসময় তারা নানা স্লোগান দেয় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে।