নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চল ২০২২-২৩ অর্থ বৎসরে ২১ সেরা করদাতাকে সম্মাননা দিয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ চেম্বার ভবনে নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চল আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য ও কর আপীলাত ট্রাইব্যুনাল এর প্রেসিডেন্ট মো. নাজমুল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোরশেদ সারোয়ার সোহেল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর অঞ্চল নারায়ণগঞ্জ এর কর কমিশনার শারমিন ফেরদৌসী। অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার ২০২২-২৩ করবর্ষে সর্বোচ্চ ও দীর্ঘ সময় আয়কর প্রদানকারী, সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী মহিলা ও তরুণ ক্যাটাগরিতে ২১ জন সেরা করদাতাকে সম্মাননা স্মারক ও সম্মাননা সনদপত্র প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মো. নাজমুল করিম বলেন, কর-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আয়কর আহরণ বৃদ্ধির জন্য এনবিআর বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। করদাতারা যাতে সহজে করের বিভিন্ন নিয়মকানুন বুঝতে পারেন সে উদ্দেশ্যে বাংলায় আয়কর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ঘরে বসে যাতে সবাই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন সে জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ব্যবস্থা প্রচলন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, একটি দেশের যত বেশি কর রাজস্ব আদায় হয় তত তাড়াতাড়ি উন্নয়ন হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. মোরশেদ সারোয়ার সোহেল বলেন, নারয়ণগঞ্জে আয়করের অনেক সম্ভাবনা আছে। সবাই মিলে আয়কর দিলে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লেনদেনের তথ্য অটোমেটেডভাবে কর বিভাগের নিকট চলে আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে করফাঁকি দেয়ার সুযোগ কমে। বাংলাদেশেও লেনদেনের ব্যবস্থা অটোমেটেড করা গেলে আয়কর বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। করদাতারা সমস্যায় পড়লে রাষ্ট্র থেকে যদি বিশেষ সুবিধা প্রদান করা যায়, তাহলে জনগণ কর প্রদানে আরো উৎসাহী হবেন।
সভাপতির বক্তব্যে কর কমিশনার শারমিন ফেরদৌসি বলেন, সেরা করদাতার হিসেবে সম্মাননা পাওয়া অত্যন্ত গর্বের বিষয়। যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের জন্য কর বিভাগের আমরাও গর্বিত। করদাতাদের সহযোগিতায় কর অঞ্চল নারায়নগঞ্জ নিয়মিত সাফল্য দেখাচ্ছে। চলতি অর্থবছর গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি রিটার্ন জমা হয়েছে। এই কর অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো ২০১১ সালে। তখন এখানে আয়কর আদায়ের পরিমাণ ছিলো মাত্র ১০২ কোটি টাকা। এক দশকে সেই আদায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৩ কোটি টাকায়। ২০১৩ সালে নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চলের নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ছিলো ২৩ হাজার। এখন পর্যন্ত এই কর অঞ্চলে ৩ লাখ ৩৩ হাজার করদাতা কর নিবন্ধন গ্রহণ করেছেন।