দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত হলে মাঠে প্রচারণায় নামবেন বিএনপি। কিন্তু জানাযায় ভিতরে ভিতরে আন্দোলনে থেকেই তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১ দফা আদায়ে বিএনপি এখনও রাজপথে সক্রিয় থাকলেও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোনারগাঁ আসন থেকে দলের মনোনয়ন পেতে কৌশলে তৎপর বিএনপির ৩ জন প্রার্থী। সোনারগাঁ আসনটি উদ্ধার করতে বিএনপির এই প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন এবার জোরে সোরেই।
তারা হলেন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, এই আসনের সাবেক এমপি রেজাউল করিম। এই দুজন হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে এরই মধ্যে তৎপরতা শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল।
তবে এই আসনটি পুনরুদ্ধারে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের প্রতিই আস্থা রাখছেন উপজেলার তৃণমূল বিএনপির কর্মীরা। গত ১৫ বছরে ক্ষমতার বাইরে থেকেও তিনি দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে রাজনীতির মঠে সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য তার বিকল্প এ উপজেলায় কেউ নেই এমন দাবি তৃণমূল বিএনপির কর্মীদের।
অপরদিকে বিএনপির জন্য দুঃসংবাদ হলো- তাদের সাবেক শরীক দল জামায়াত এবার সোনারগাঁ আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছন প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা ইকবাল হোসেন ভূঁইয়াকে। নানা কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় জামায়াত ইসলাম রাজনৈতিক অঙ্গনে দৃশ্যমান। নির্বাচনের আগে ভোটের মাঠের জন্য দলকে প্রস্তুত করে তোলতে সোনারগাঁ আসনের নির্বাচনী এলাকা সোনারগাঁয়ের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় চষে বেড়াচ্ছেন জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ড. মাওলানা ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মাঝে আলোচনা হচ্ছে সোনারগাঁ আসনটি গুরুত্বপুর্ণ হওয়ায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত ও জাতীয় পার্টি এখানে উত্তাপ তৈরী করছে। কেননা এখানে আর কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। কথার লড়াই চলমান রয়েছে। জাতীয় পার্টিও এই আসনটি আবারও ধরে রাখতে কোন দিক থেকে কার্পন্ন করছে না। তাই সব কিছু মিলিয়ে এই আসনটিতে বইছে নির্বাচনী উত্তাপ ।