সিদ্ধিরগঞ্জে নাশকতা মামলার এক আসামীর জব্দকৃত প্রাইভেটকারে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে ব্যবহার করছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির-১। সেই আসামী বিএনপির সক্রিয় সদস্য। এ ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে এলাকায়।
জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই কামরুল ইসলাম নাশকতার মামলায় বিএনপির সদস্য এসএম আমিনুল হক টুটুলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। যার মামলা নং- ১ (১১) ২৩। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে। কিন্তু তার জব্দকৃত ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার চালাচ্ছেন এস আই হুমায়ুন।
এ বিষয়ে জানতে এস আই হুমায়ূনের ব্যক্তিগত (০১৭১১২৮৭৩৩৮) নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। যোগাযোগ করা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোজাম্মেল বলেন বিষয়টি তার নলেজে নেই।
স্থানীয় তথ্য সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের কলাবাগ এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে ভুমিদস্যু ও সন্ত্রাসী এসএম আমিনুল হক টুটুল ২০২২ সালের ২৮ জুলাই রাতে দেশীয় অস্ত্রসহ বহিরাগত ২০/৩০ জন লোক নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কদমতলী গ্যাসলাইন এলাকায় গিয়ে একটি জমির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ফেলে। এ ঘটনার খবর পেয়ে বিবাদীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সাথে এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ দু-গ্রুপকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে টুটুল নিজেকে বাচাঁতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে গিয়ে তার নিজস্ব প্রাইভেট (ঢাকা মেট্রো গ* ২৯-৪৮৫৮) কার দিয়ে এক অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রীসহ চালক গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অটোরিকশার মালিক টুটুলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত তার কোন সুরাহা হয়নি।
টুটুলের বিরুদ্ধে জমির জাল দলিল সুজন করার কারণে সিদ্ধিরগঞ্জে আলী মর্তুজা নামের এক ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করেন (যার নং- ২৪০/২২ ও ৩৬২/২২)। মামলা দুটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজীসহ টুটুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ২৪ (৪) ২৩ নং মামলায় আসামী টুটুল। মিজমিজি এলাকার জয়নাল ব্যপারির ছেলে মো. স্বপনের দায়ের করা মামলারও (মামলা নং- ২৬-৬-২২) আসামী সে।