নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, ‘বয়সে আমার অনেক বড়, আমার শাশুড়ির বন্ধু ৭৮ নাকি ৭৯ বছর বয়স। এ বুড়া বয়সে ধরা খেয়ে ২৩ বছরের মেয়ে বিয়ে করছেন একটা। বলে রাখলাম। পরে নাম ঠিকানা বলে দিব। ২৩ বছরের একটা মেয়ে বিয়ে করছেন খুন করেছেন ১৭টা। করেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। আপনার বউয়ের নামও আমি বলতে পারবো। কোন এলাকাতে থাকেন এখন সেটাও বলতে পারবো।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শ্রমিক লীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা শ্রমিকলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক বিএনপির সাংসদ গিয়াস উদ্দিনকে ইঙ্গিত করে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান।
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, ভাববেন না আপনারা কোথায় থাকেন এটা জানি না। পুলিশ আপনাদের ধরে না দেখে ভাববেন আমরা জানি না। কিন্তু আমরা সব জানি। প্রতিহিংসা চাই না। মানুষের মনে থাকতে চাই। রাজনীতিটা নষ্ট কইরেন না। একসাথে থাকতে দেন। ছেলেদের রাস্তায় নামিয়ে এমন কিছু করবেন না যাতে মামলা খেয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ২০০১ সালের পর আমাদের উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জে কফিলউদ্দিন, সুন্দর আলী সহ অনেককে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাইয়ের কারখানায় হামলা করে দুধের বান, রাজহাসের গলা কেটে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা কোন প্রতিশোধ নেইনি। কাউকে একটা ফুলের টোকাও দেই নাই।
শামীম ওসমান বলেন, আওয়ামী লীগ যারা করে সবাই ভালো না। মুক্তিযুদ্ধ করে সবাই ভালো কাজ করেছে তা নয়। মুক্তিযুদ্ধের পর যারা লুট করেছে তারা আসল মুক্তিযোদ্ধা না। একসময় আইসক্রিম বিক্রি করত রাস্তার ধারে, এখন হাজার কোটি টাকার মালিক এমন অনেক লোক আছে নারায়ণগঞ্জে। ওরাও রাজাকারের মতোই।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের বাচ্চার ভবিষ্যত। আমার ভুলত্রুটি থাকতে পারে, আমাদের বদলে দিন কিন্তু শেখ হাসিনাকে রাখুন। তরুণ প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। আগামী দিনে রাজনীতি রাজপথে হবে না, বুদ্ধি দিয়ে হবে।
বিএনপিকে বলতে চাই, আপনারা কোনো ফ্যাক্টর না। আপনারা ব্যবহৃত হচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জকে অস্থিতিশীল করবেন না। আমরা ক্ষমতায়, কাউকে টোকা দেইনি। আপনারা এসেই আমাদের সুইটসহ অনেককে মেরেছেন। আমার বাড়িতে হামলা করেছেন। সিদ্ধিরগঞ্জে আমাদের নয়জন লোককে মেরেছেন। আমরা কিন্তু বিএনপির একটি কর্মীকে থাপ্পড়ও দেইনি। যে ভুল তারা করেছে আমরা করব না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক আবদুল কাদিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, জেলা যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু, জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব কামাল হোসেন।