নগরীর চাষাড়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় চাষাড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন তারা। এসময় নেতৃবৃন্দ নির্বাচনী তফসিল বাতিল, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং দমন-পীড়ন-গণগ্রেফতার বন্ধ ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবি জানান। এর আগে, বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবত্তীর্, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, কমিউনিস্ট পার্টির জেলার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আব্দুল হাই শরীফ, বাসদ নেতা সেলিম মাহমুদ, সিপিবি নেতা দুলাল সাহা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদ স্বৈরাচারের পতনের ৩৩ বছর আজ। ৮,৭ ও ৫ দলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মুখে সামরিক জান্তা এরশাদের পতন হয়েছিল ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০। এরশাদের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এরশাদ পতনের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ এর নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আওয়ামী সরকার চরম ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। বিরোধী নেতা—কর্মীদের গ্রেফতার, হামলা, মামলা দিয়ে দেশে একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছে। নিবার্চন কমিশন, দুদকসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছে বর্তমান আওয়ামী সরকার। আওয়ামী সরকারের অধীনে গত দুটি নির্বাচন ভোটারবিহীন ও দিনের ভোট রাতে করে প্রমাণ করেছে তাদের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। স্বাধীনতার পর দেশে ১১ টি জাতীয় সংসদ নিবার্চনের মধ্যে ৭ টি দলীয় ও ৪ টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ৪ টি নিবার্চনে মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছে। দলীয় সরকারের অধীনে প্রত্যেকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ কারচুপীর নির্বাচন হয়েছে।