নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, ‘যাদের ভোটের মাঠে কোন জনসমর্থন নেই, জনগণের মাঝে যাদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই, তারা অনেক কিছু করে বেড়াবে৷ যাদের সমর্থন থাকে না তারাই মানুষকে ভুড়িভোজ করিয়ে নিজের পক্ষে টানার চেষ্টা করে৷’
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা মোল্লাবাড়ি এলাকায় প্রচারণার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের ভুড়িভোজ করান৷ এই প্রার্থী হলফনামায় তার নগদ বা ব্যাংকে কোন টাকা নেই জানালেও প্রচারণায় তিনি ব্যবহার করছেন কোটি টাকার নতুন গাড়ি৷
নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর বলেন, ‘যাদের কাছে শুধু অর্থ আছে কিন্তু জনসমর্থন নেই তারা কেবল ভূড়িভোজ করে বেড়ায়৷ নানাভাবে তারা নতুন গাড়ি কিনে তা হাকিয়ে বেড়াবে৷ কারণ তাদের আর তো কাজ নেই৷’ াচরণবিধি লঙ্ঘন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভুড়িভোজ করিয়েছে, এটা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন৷ আমরা এই বিষয়ে অভিযোগ করবো।’
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের কোনো কর্মসূচি নেই। দুই একটা মিছিল হয়। আর আমাদের ১২৯টি কেন্দ্রেই নৌকার মিছিল হচ্ছে। যুবলীগের মিছিল হচ্ছে। মহিলা লীগের মিছিল হচ্ছে। যুব মহিলা লীগের মিছিল হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মিছিল হচ্ছে। একটি গ্রামে চার-পাঁচটি অংশে মিছিল হচ্ছে।’
আসনটিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার প্রসঙ্গে বলেন, ‘সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ নির্বাচন রূপগঞ্জেই হবে। তিনি তৃণমূলের মহাসচিব। একটি দলের সেক্রেটারি দাঁড়িয়েছে। এজন্য আমরা চাই তিনি ভালো ভাবে ইলেকশন করুক।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মানুষের পরিপূর্ন ভালোবাসা পাচ্ছি। ২০০৫ সাল থেকে আমি ৪ দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। গুলি খেয়েছিলাম। ওয়ান ইলেভেনে ২৭ দিন জেল খেটেছিলাম। ক্যান্টনমেন্টে ছিলাম। জনগণ আমাকে চিনে। জনগণ আমাকে ভালোবাসে। যেখানে অসুবিধা, সেখানে গিয়েছি। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাকে যে যখন ডেকেছে, তখন তার ডাকে সাড়া দিয়েছি। আমার পরিবারের সকলেই মানুষের পাশে ছিলো। আমার মনে হয়, রূপগঞ্জের প্রতিটি জায়গা আমি যতটা চিনি, আর কেউ ততটা চিনে না।’
নারায়ণগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন প্রসঙ্গে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জে আসবেন। তিনি এখানে এসে বক্তব্য রাখবেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন যে, শেষ মিটিংটা তিনি ঢাকার পাশে নারায়ণগঞ্জেই করতে চান। নেত্রী আসলে তাকে স্বাগত জানাতে অবশ্যই আমরা যাবো। তিনি যা বক্তব্য রাখবেন, যেই দিক নির্দেশনা দিবেন, আমরা তা শুনবো এবং পালন করবো। আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানকে সফল করতে সেখানে ব্যাপক ভাবে অংশগ্রহণ করবো। মাঠেই থাকবো।’
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন, মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।