বহিষ্কৃত মহানগর বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমি যখন থেকে রাজনীতি করি এই সব ষড়যন্ত্রকারীদের জন্মও তখন হয়নি। তারা যদি মনে করে এইসব ঠুনকো বহিষ্কারাদেশ দিয়ে আমাকে বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। হয়তো দলের সদস্য পদ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবে কিন্তু নারায়ণগঞ্জ এবং বন্দরের আপামর জনতার হৃদয় থেকে আমাকে কোনদিন বের করতে পারবে না।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) বহিষ্কারাদেশ নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, যেখানে দেশ এবং জাতি এক করুন সময়ের মধ্য দিয়ে পার করছে। দলের মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলখানায় কারাবন্দি এমন এক সময় যেখানে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথ চলার কথা কিন্তু বিভিন্ন কুচক্রীমহল আজকে বিএনপিকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে দলের ভেতরে থেকে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের জনগণ বোকা নয় তারা সচেতন তারা কে সত্য আর কে মিথ্যা অতীতেও তার প্রমাণ দিয়েছেন ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও দিবেন।
মুকুল বলেন, আমার আর সাধারণ জনগণের মধ্যের বন্ধন মজবুত ইস্পাতের মত। আমি সর্বদা সবসময় এক মহান আল্লাহতালার উপর বিশ্বাসী। মহান আল্লাহতায়ালা যেমন ফেরাউনকে নীল নদের স্রোতে সলিল সমাধি করেছেন, তেমনি আমার জনপ্রিয়তার স্রোতে সকল ষড়যন্ত্রকারীরা একদিন শীতলক্ষার অতল গভিরে তলিয়ে যাবে। মহান আল্লাহতালা ধৈর্যধারণকারীকে পছন্দ করেন এবং তাকে তার ধৈর্যের জন্য উত্তম প্রতিদান দান করেন, আমি ও ধৈর্য ধারণ করলাম। আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অন্যায়ের সাথে কোনদিন আপস করেন নাই, আমিও তার একজন সামান্য কর্মী হিসেবে কোনদিন অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করবোও না ইনশাল্লাহ।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহানগর বিএনপি নেতা শওকত হাশেম শকু, বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা হান্নান সরকার, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, সাবেক কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ ও সোনারগাঁ থানাধীন ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. নুরুজ্জামানকে বহিষ্কার করা হয়।