নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, যে কোন সময় বড় ধরনের আঘাত আসতে পারে। সবাই দোয়া করেন শেখ হাসিনা যাতে বাঁইচা থাকে, আমি শামীম মরে গেলেও চলবো। হয়তো আপনারা মন খারাপ করবেন, আমার বউ বিধবা হবে, আমার সন্তানরা কাঁদবে। আমি জানি, আমি মৃত্যুর মুখ দিয়ে হাটছি। মইরা গেছি ২০০১ সালে, এখন বাঁইচা আছি এটা এক্সট্রা। সামনে পূজা আসতেছে। এই সময়ে আমাদের অনেক সতর্ক থাকতে হবে। ছাত্রলীগের সন্তানদের বলবো পূজার মধ্যে তোমরা সকল মন্ডপ গুলাতে থাকবা। আমরা ইসলাম ধর্মের লোকজন সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি। সবাই রেডি হন, পূজার পর একটা থাবা দিব নারায়ণগঞ্জ থেকে। এক থাবা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শুধু না. ঢাকাও খালি করে দিব।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সোনারগাঁঢের কাঁচপুরে আগামী ১৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, অনেকগুলো কমিটি আটকে রেখেছে ঢাকা থেকে। আওয়ামী লীগের কমিটি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর কমিটি মুলার মত ঝুলিয়ে রাখার কারণে দলে গ্রুপিং বাড়ে। অন্তত নারায়ণগঞ্জের কমিটিগুলো দিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। কারণ নারায়ণগঞ্জকে অন্য জেলার সঙ্গে তুলনা করলে হবে না। ঢাকা যা না পারে সেটা নারায়ণগঞ্জ পারবে। ১৩ অক্টোবর সমাবেশ ঘিরে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। একটি থানার প্রোগ্রাম কতটা বড় ও সফল হয় সেটা নারায়ণগঞ্জ করে দেখাবে। এবার আর বলবো না ‘খেলা হবে’। সোনারগাঁও থেকে বলবো ‘ফাটাফাটি’ হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন নির্বাচন যারা নিয়ে চিন্তা করছেন তারা আওয়ামী লীগ করার যোগ্যতা রাখে না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বলেছি আমাকে নমিনেশন দিয়েন না। সবাই যেখানে চায় সেখানে আমি বলেছি দিয়েন না। আমাকে অন্য ভাবে কাজে লাগান। আমি এমপি না হলে কিছুই হবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে আমার মেয়ে-বউদের ধর্ষণ করবে, তারাই যারা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল। এটা একাত্তরের চেয়েও বড় যুদ্ধ। আমি সারারাত ঘুমাই না। আমি অন্য কারো মত না। আমি খবরগুলো পাই। কোনদিক দিয়ে এগোচ্ছে সেগুলো জানি। আর ওরাও জানে আমি কোনদিক দিয়ে এগোচ্ছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আসছে পূজার মধ্যে ও পূজার পরে মরণকামড় দিবে। দেশটাকে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে চরম অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে ফিলিস্তিনের চেয়েও খারাপ হবে। বড় ধরনের আঘাত আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।
সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. শামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার, সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম, বারদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনুসহ নেতৃবৃন্দ।