নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে ভোট কিনতে টাকা বিলির সময় আটক দুজনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। রোববার (৭ জানুয়ারী) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামশাদ বেগম ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে আসামিদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ আইনে ১৯৭২ এর ২ (বি) ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা রূপগঞ্জের আগরপাড় এলাকার মৃত রতন মিয়ার ছেলে সবুজ (৩০) ও মিজান মিয়ার ছেলে নাঈম (২৭)। তারা উভয়েই কেটলি প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী এবং ওই প্রার্থীর পক্ষে ভোট কিনতে টাকা বিলি করছিলেন বলে উভয়ে স্বীকার করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাহজাহান ভূঁইয়ার নির্বাচনী সমন্বয়ক কাঞ্চন পৌরসভা মেয়র রফিকুল ইসলাম। তাঁর দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গুজব ছড়াচ্ছেন।
শনিবার দিবাগত রাত দুইটায় রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গুতিয়াবো এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ ওই ২ জনকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন।
রূপগঞ্জে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম বলেন, ‘ভোট কেনার সময় স্থানীয় লোকজন দুজনকে আটক করে আমাদের খবর দেন। পরে আমরা গিয়ে তাঁদের আটক করি। তাঁদের কাছ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, তাঁরা কেটলি মার্কার (স্বতন্ত্র প্রার্থী) নির্বাচনী টাকা বিলি করছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আটকের পর দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের একটি ভিডিওতে নাঈম মিয়াকে বলতে শোনা যায়, তিনি গুতিয়াবো আগারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর এলাকার কেটলি প্রতীকের অনুসারী মামুন মিয়া তাঁকে টাকা বিলির দায়িত্ব দেন। ভোটার প্রতি দুই হাজার টাকা করে তাঁদের বিলি করার কথা ছিল। এরই মধ্যে স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করেন।