নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই বলেছেন, বিএনপির সংহিত রাজনীতি শুর করেছে। গত ২৮ অক্টোবর আমরা দেখতে পেলাম এক নিরীহ পুলিশ সদস্যকে তারা নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যার করেছে এবং প্রধান বিচারপতির বাস ভবনে তারা হামলা চালিয়েছে। আজ তারা অবৈধ ভাবে অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে তারা তিন পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ও একজনকে কুপিয়ে আহত করেছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ শহরে এখনও কিছু হয়নি। আমরা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা শক্ত অবস্থানে আছি, আমাদের সাথে জেলা আওয়ামী, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাঠে অবস্থানে আছে। বিএনপিকে কোন ভাবেই বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না।
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দিন ব্যাপী ২নং রেল গেইটস্থ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করার সময় তিনি এসব কতা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে এবং আমরা তাদের আহবান করব তারা যাতে নির্বাচনে আসে। যদি তারা নির্বাচনে না আসে তাহলে ধরে নিতে হবে তাদের যে সন্ত্রাসী রুপ ছিলো, তারা যে প্রকৃতপক্ষে আমাদের বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং তারা দেশ বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযোদ্ধের বিপক্ষের শক্তি ও তারা যে জামায়াতের সাথে জুট বেঁধেছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা আসা করি এই অশুভ শক্তিকে আমরা শীঘ্রই পরাজিত করব এবং আমাদের নেত্রী, আমাদের দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে ইনশাল্লাহ আবারও আমরা জয় লাভ করে ৪র্থ বারের মতো আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রী করব এবং আগামীতে ইনশাল্লাহ আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে।
এছাড়াও অবস্থান চলাকালিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এড.আনিসুর রহমান দিপু বলেন, আজকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে প্রমানিত হয়ে গেলো যে বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল এবং তারা গণতান্তীক নিতিতে বিশ্বাস করে না। গণতান্তিক প্রকৃয়া বিশ্বাস করে না, গণতান্তিক রাজনীতে বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস করে না বিদায় তারা ২৮ তারিখের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলে তারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে। এছাড়াও অন্যান বিচারপতিদের বাড়িতে তারা হামলা করেছে, রাষ্ট্রের চারটা স্থমবর অন্যতম হচ্ছে বিচার বিভাগ, তারা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করতে চায়। তারা নিরবাহিক বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অগতি ঞটাতে চায়, তারা একজন পুলিশকে যে ভাবে সাপের মতো পিটিয়ে মারলো নিসংস ভাবে এবং পিটিয়ে মারার পর তারা আগুন দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং তারা যে এতো নিচু, এতো ছোট মনের চোর যে মৃত্যুর পরে পুলিশের পকেট থেকে ভিডিও ফুটেজে আমরা দেখলাম টাকা পয়সা সবগুলো বের করে নিয়েছে। তারা যদি বারাবারি করে তাহলে আমরা জনগনের যার মাল রক্ষার জন্য আমরা প্রতিরোধ করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এড.আনিসুর রহমান দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খবির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সদস্য শামসুজ্জামান ভাষানী, হাজী আমজাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী জসিম উদ্দিন, সালাউদ্দিন সিকদার, শাহজাহান সম্্রাট, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ মাহাদী হাছান রবিন, মহানগর যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী রেজা উজ্জল, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ মাষ্টার, জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দিন আহমেদ বাবুল, জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব শাহ জামাল খোকন, নিলা আহমেদ, নাছিমা বেগম সহ প্রমুখ।