নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের ডিসি ও এসপি দুই এমপির কথায় চলে। তারা যা বলে তাই তারা শুনেন।
তারা আমাদের নারায়ণগঞ্জবাসির কথা চিন্তা কম করেন। কারণ তারা যা তাদেরকে দেয় আমি তো দিতে পারি না। কারণ আমার কাছে তো আর মোটা অংকের টাকা নাই। ফলে আমি দিতেও পারি না। কারন আমার তো আর এদের মতন বাহিনী নেই।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১১টায় নগর ভবন অডিটোরিয়ামে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৩- ২৪ সালের বাজেট ঘোষণা শেষে সুধী সমাবেশে বিভিন্ন জনের প্রশ্নের জবাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন ।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জসহ শহরে কে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী করে তা সবাই জানে। শহরের ফুটপাত হকার মুক্ত করার জন্য আমি পদক্ষেপ নিতে যাই। আর উনি এসে হকার বসায়। শহরের ফুটপাতের হকার মুক্ত করতে গিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছিল।
হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ করা হয়েছিল। সেদিন আমিসহ শত শত আমার সাথে থাকা সাংবাদিক ও আমার নেতাকর্মীরা আহত হয়েছিল। সেদিন পুলিশ মামলাটাও পর্যন্ত নেয়নি। পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা নেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, শহরে অটোরিকশা চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। এই চাঁদাবাজি গুলো কে করে আপনারা সবাই জানেন। শুধু পুলিশ কিংবা সাংবাদিকের স্টিকার না এমপি স্টিকারও থাকে। এমপির লোকজন শহরে এখন এমপির স্টিকার লাগিয়েও চাঁদাবাজি করে।
কারণ ফুটপাতের হকাররা ও ট্রাক স্ট্যান্ডার লোকজন আমার কথা শোনে না তারা সবাই এমপির কথাই শোনে। এমপি যদি বলে তাহলে একদিনে ফুটপাত থেকে হকার ও নিতাইগঞ্জ থেকে ট্রাক স্ট্যান্ড খালি হয়ে যায়। আর আমি শত অনুরোধ করলেও তারা শোনেন না।
তিনি আরও বলেন, পুরো নারায়ণগঞ্জনগরীকে তারা জিম্মি করে রেখেছে। আর যদি সব সময়ে এমনই হতে থাকে তাহলে তো আমার এমপিগিরিই করতে হবে। প্রয়োজনে আমি এমপি মনোনয়নও চাইবো।
এসময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।