নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেন, এটা কষ্টের বিষয় যে আমরা এই প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের কাজে যাদেরকে সাথে চাচ্ছি, তাদের পাচ্ছি না। তবে আশা করছি অন্তত মিটিংয়ে দিন তারা এসে মঞ্চে উপস্থিত হবেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মাঠ পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিথ ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমি আশাবাদী এই সমাবেশটা নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসের সর্বকালের সর্ব বৃহৎ সমাবেশ হবে। আমি সবার থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমাদের এখানে অনেক সিনিয়র নেতা কর্মীরা আছেন, তারা না থাকলে আজ আমি শামীম ওসমান হতে পারতাম না। তারা ছাড়া আমার দুই পয়সার দাম নাই। কিন্তু যেহেতু নেত্রী আসছেন, নেত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে মঞ্চে নির্দিষ্ট কিছু লোক ছাড়া অন্য কাউকে উঠাবো না। আমাদের টার্গেট নেত্রী আসবেন, বক্তব্য দিবেন এবং সন্ধ্যার আগে ঢাকায় ফিরবেন। আমি আগেই থেকেই হাতজোর করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার থেকে আরো অনেক সিনিয়ার নেতারা আছেন যাদের হয়তো ওই দিন যথাযথ ভাবে সম্মান দেখাতে পারব না।
এমপি শামীম ওসমান বলেন, ইনশাল্লাহ আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি। আগামীকাল রাতের মধ্যে আমরা মাঠ গুছিয়ে ফেলবো। কে কে মঞ্চে থাকবেন এবং কে কে মাঠে থাকবেন সেটাও নির্ধারিত করবো। মহানগর আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট কেন আসেন না সেই প্রশ্নের উত্তর তিনি ভালো বলতে পারবেন। আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি কিন্তু তাদের পাইনি। হয়তো কোন কাজে ব্যস্ত আছেন। ইনশাল্লাহ, জন-সমাবেশের সময় আমরা তাদের পাবো।
মাঠ পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান লিটন, নারায়ণগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফেসর ড. শিরিন বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, নারায়ণগঞ্জ শহর যুব লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দিন প্রধান, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাইল রাফেল, মহানগর ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, যুবলীগ নেতা কাউসার আহম্মেদসহ নেতৃবৃন্দ।