চারিদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা এই ষড়যন্ত্র করছে তারা একাত্তরে বিরোধিতা করেছিল, আমাদের মা বোনদের পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছিল। আমাদের দায়িত্ব এ দেশকে রক্ষা করা। সেসময় স্লোগান ছিল বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো। আজকের স্লোগান বীর বাঙালি ঐক্য গড়ো বাংলাদেশ রক্ষা করো। যারা লাফালাফি করে বলছে সরকার ফেলে দেবে। অনেকদিন ধরেই এগুলো শুনছি৷ আমাদের মা শেখ হাসিনা৷ আপনার মাকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগান দিলে আপনি কী ছেড়ে দিবেন?
আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের রাইফেল ক্লাবে এ কথা গুলো বলছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ছোট্ট দেশ। আমরা হাটিহাটি পা পা করে উঠে দাঁড়াচ্ছি। ভৌগলিক কারণে আমরা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হয়ে দাঁড়িয়েছি। এখানে খেলা শুরু হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন বিশ্বে এত খারাপ অবস্থার পরেও ২০৪০ সালের মধ্যে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। আমরা বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেই না, আমরা নারায়ণগঞ্জে নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করি। এখানে যারা আছি তারা বলতে পারবেন এ নারায়ণগঞ্জ ভূমিকা পালন করে৷ অন্য কারও সার্টিফিকেট দরকার নেই। বঙ্গবন্ধু নিজে তার আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন৷ প্রতিটা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ।’
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে এখন রাস্তায় জাতির পিতার কন্যাকে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে মিছিল করে। মিছিল করুক আপত্তি নেই। তবে তারা যে ভাষায় গালি দেয় তা মেনে নেয়া যায় না। মামুনুল হক ইস্যুতে কতিপয় লোক শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে পায়ের নিচে পিষে ফেলতে চায়। আমার কর্মীরা ছাত্রলীগ যুবলীগ জবাব দিতে চাইল। আমি বললাম থামো দেখি বাকি নেতা নেত্রীরা কী করে। অনেক বড় বড় নেতা নেত্রী তো আছে। তাদের বললাম আমার সাথে থাকার দরকার নেই জাতির পিতার কন্যার জন্যে হলেও মাঠে নামুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জে থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাত, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরিন বেগমসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।