নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেছেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর যদি কেউ নাশকতা করে, নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবেন না জবাব দিয়ে দিবেন। আগামীকাল থেকে আমরা নির্বাচনের মাঠে নামবো। কোন কিছুই শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে না। আমরা কারো সাথে শত্রুতা চাই না। এর মানে এই না যে হাজার হাজার মাইল দুর থেকে আমরা সুতোর টানে ঘুরবো। আমরা বাঙ্গালি জাতি। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নাই।’
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর ঘাট এলাকায় আয়োজিত এক শান্তি সমাবেশে শাহ্ নিজাম এসব কথা বলেন।
বিএনপি জামায়েতের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র ও অবোরোধের নামে জ্বালাও পোড়াও এর প্রতিবাদে ২২ ও ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বন্দর উপজেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ ও মাহবুবুর রহমান কমলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ।
খোকন সাহা বলেন, ‘জনগনের জান-মাল রক্ষার দায়িত্ব শামীম ওসমানের কর্মীদের। ওই আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হয়; আমরা তাদের দেখবো। শামীম ওসমান দেখবে। শামীম ওসমানের বন্ধুরা, শামীম ওসমানের কর্মীরা কখনো দলের নেতাকর্মীদের রাস্তায় ফেলে আমরা পালিয়ে যাই না। বিএনপি তাদের কর্মীদের দিয়ে অপকর্ম করাচ্ছে। বাসে আগুন দিয়ে সেটার ভিডিও করে লন্ডনে পাঠিয়ে দেন। বিকাশের মাধ্যমে আপনাদের পেমেন্ট আসে। এইতো হচ্ছে আপনাদের দেশপ্রেম এর নমুনা। যে হাত দিয়ে আগুন লাগাবে সেই হাত কেটে ওই আগুনে নিক্ষেপ করবেন, পের যা হওয়ার দেখা যাবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে খোকন সাহা বলেন, ‘ভালো পথে আসেন, ভালো হয়ে যান। নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। নেত্রী বলেছে, বাংলাদেশের মানুষ যদি ভোট দেয় তাহলে আমাদের কোন আফসোস থাকবে না। অনেক নাশকতা করেছেন এবার শান্ত হন। মানুষের গণতন্ত্রে হাত দিবেন না। ওদের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ করতে হবে। পরিস্কার কথা, গণধোলাই দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি নেত্রীর নির্দেশের বাইরো কোনদিন যাইনি। জানি না জোট হবে কি না, তবে, নেত্রীর মনোনীত প্রার্থীকেই আমরা জয়যুক্ত করাবো। আমি ব্যাক্তি বুঝি না, আমি বুঝি শেখ হাসিনার প্রার্থী। নেত্রীর মনোনীত প্রার্থীর জন্য আপনারা ঝাঁপিয়ে পরবেন। আগামী নির্বাচনে নেত্রী যাতে ক্ষমতায় আসতে পারে সেই জন্য দোয়া করবেন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, এড. মাহমুদা মালা, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, মহানগর তাঁতী লীগের আহ্বায়ক চৌধুরী এইচএম শাহেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য শিখন সরকার শিপন ও যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান।