নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, ‘সেদিন ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ আমাকে হাত দেখালেন, আমি গাড়ি থেকে নামলাম। তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, তোমার জন্য আমি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে দোয়া করি। ওনার সাথে আমার অন্য সম্পর্ক নেই, তাও তিনি আমার জন্য দোয়া করেছেন এটাই আমার পাওয়া। ১০ বছর কতোটা শান্তিতে ছিলেন সেটা এবার মূল্যায়নের সময় এসেছে। আমি যখন মা-বোনদের সামনে যাই, আমার বাবার বয়সীদের কাছে যাই, আমি আর কী ভোট চাবো। তারাই বলে আলহামদুলিল্লাহ, ইন শা আল্লাহ! এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে সোনারগাঁয়ের চেঙ্গাকান্দি এলাকায় এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে জনগণের সেবা করার যোগ্যতা দিয়েছেন, সেজন্য শুকরিয়া আদায় করি। ১০ বছর নিজের লোভ লালসা ত্যাগ করে, আমার নিজের ও পরিবারের সম্পদ বিক্রি করে করোনার সময় মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছি। আগামী ৫ বছর আপনারা কেমন থাকবেন, জীবন কেমন হবে সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক আপনারা। আমি ১০ বছর দায়িত্বে ছিলাম। আমার যে প্রতিপক্ষ প্রার্থীও ৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। আপনারা জানেন আপনারা ওনাকে কতো কাছে পেয়েছেন আর আমাকে কতোটা পেয়েছেন। এগুলো বিচার বিশ্লেষণের দায়িত্ব আপনাদের। এই সোনারগাঁ আপনাদের সবার, আমার একার না। আপনারা পরিবার নিয়ে কীভাবে শান্তিতে ছিলেন ১০ বছর, তা আপনারা জানেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে সোনারগাঁয় অনেক প্রয়োজন ছিলো এই স্কুল, রাস্তাঘাট, মসজিদের। এগুলো কিন্তু এখন দৃশ্যমান। আপনাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মাগরিবের ওয়াক্ত কাছে, মুসলমান হিসেবে একটা কথাই বলবো। আমি যদি আপনাদের সময় দিয়ে থাকি, সবাইকে বুকে জড়িয়ে আপনের মত ১০ বছর থেকে থাকি, তাহলে আমাকে আপনার কীভাবে মূল্যায়ন করবেন সেটা আপনাদের বিবেকের উপর। সোনারগাঁকে সব সময় রাখতে চেয়েছি শান্তিতে। কোনও ঝগড়া বড় হতে দেইনি। গার্জিয়ান হিসেবে চেয়েছি সবাই শান্তিতে থাকুক।
তিনি আরও বলেন, করোনার তিন মাস আমি সোনারগাঁ‘র মাটিতে পড়ে ছিলাম। ৫৮ জন মানুষ মারা গেছেন করোনায়, আল্লাহ আমাকে তাদের দাফন কাফনের তৌফিক আল্লাহ দিয়েছেন। আমি সেজন্য আল্লাহ‘র কাছে কৃতজ্ঞ। আমার যে প্রতিপক্ষ, আমার জন্য জনগণের ভালবাসায় তারা অসন্তুষ্ট। তারা ভোট চাওয়া বাদ দিয়ে জনগণকে হুমকি দিচ্ছেন। আমার নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন, ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন সেন্টারে না যেতে। ভোট না কি হবে না! আমি সবার বাড়িতে গেলাম, তারা আমার কানে কানে বলছেন, ভোট কি সুষ্ঠ হবে, আমরা কি ভোট দিতে পারবো? তারা এবার ভোট দিতেই চায়।
এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন আমিন মেম্বার,আউয়াল মেম্বার, ফারুক মেম্বার, রফিক মেম্বার, মোহাম্মদ আলী মেম্বার, ইবনে আলী মেম্বার, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম ইকবাল, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সদস্য লায়ন তোফাজ্জল, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল, জাতীয় পার্টির নেতা শহীদ, জাকির সরকারসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও আপামর জনগণ।