নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সম্পদ না। শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের সম্পদ। আমরা একটা অকৃতজ্ঞ জাতি। আমরা তার পরিবারের সবাইকে হত্যা করেছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের ভবিষ্যৎকে মেরে ফেলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু থাকলে আজ বাংলাদেশ জাপানের চেয়ে অনেক এগিয়ে যেত। শেখ হাসিনা আপনাদের সবার সম্পদ। সুতরাং আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আপনারা যদি চান এক দুই লাখ মানুষ মারা যায় ভেবেছেন কী হবে। এক হলি আর্টিজান হামলায় বিদেশি বায়াররা আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। আর এ সুযোগ যদি তারা পায়। ওরা একটি পদলেহনকারী গ্রুপকে বসাতে চাচ্ছে। তখন এ দেশ আফগানিস্তান ও সিরিয়ার মতো হয়ে যাবে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় শামীম ওসমান আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে সবমিলিয়ে ১৮০০ কিংবা ২২০০ পুলিশ আছে। কিন্তু লজিস্টিক সাপোর্ট সেভাবে নেই। ১৮০০ পুলিশ দিয়ে যদি আমরা মনে করি সব সমস্যার সমাধান হবে; উনারা তো ফেরেশতা না। তারা তো পারবে না। আমাদের ঘুম থেকে উঠতে হবে। আমাদের জাগতে হবে। এখানে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
শামীম ওসমান বলেন, আমি প্রথম যখন পার্লামেন্টে গেছি তখনই এ ডিএনডি নিয়ে কথা বলেছি। আমি বলতে বলতে এক পর্যায়ে বললাম এটা করে দেবেন নয়তো পদত্যাগ করবো। তখন প্রধানমন্ত্রী এটা করে দিতে বললেন। আজ সেটার কাজ সেনাবাহিনী করছে।
তিনি বলেন, এখানে সব ব্যবসায়ীরা আছেন। ব্যবসায়ীরা মানুষের জন্য কাজ করেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আপনাদের জন্য। সারা পৃথিবীতে আমাদের সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে এটা সবাই বোঝে। আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে।
এখানে পলিটেকনিক্যাল স্কুল হচ্ছে, পাঁচশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হবে। আরও অনেক কাজ হবে। এতে শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, উত্তরাঞ্চলের মানুষ এখান থেকে সুবিধা পাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, নারায়ণগঞ্জ- ১ আসনের সাংসদ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ ও বিকেএমইএর সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ, সহ-সভাপতি মো: রাশেদ, গাওহার সিরাজ জামিল, ফজলে শামীম এহসান, অমল পোদ্দার, আকতার হোসেন অপূর্ব, সহ-সভাপতি (অর্থ) মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, পরিচালক আশিকুর রহমান, মঞ্জুরুল হক, আবু আহমেদ সিদ্দিক, মো: শামসুজ্জামান, মোস্তফা মনোয়ার ভূইয়া, শ্যামল কুমার সাহা, শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, খন্দকার প্রমুখ।