সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে নিন্দার ঝড় ছাত্র সমন্বয়কদের উপর হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ সভা সিদ্ধিরগঞ্জের যুবলীগ ক্যাডার মোটা কবির এখনও গ্রেপ্তার হয়নি আওয়ামী লীগের আমল মানেই দুর্ভিক্ষ: মামুন মাহমুদ কাঁচপুরে বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৩ নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের রাজধানী বানিয়ে রাখা হয়েছিল: জামায়াতে আমীর সংস্কার কি সম্ভব? ইউনূস সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবনা নারায়ণগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার ভাঙলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী তিনদিনের রিমান্ডে

বন্দরে হত্যা মামলায় ২ বন্ধু গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫১ Time View

বন্দরে একটি পুকুর থেকে সজিব চন্দ্র ভাওয়াল (২৩) এর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ঘাতক দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার ১২৪নং জামাইপাড়া সম্রাট কুঠিরের ভাড়াটিয়া সজল চন্দ্র নাহা ছেলে অজিৎ চন্দ্র নাহা (২০) ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দী থানার কাউয়াদী এলাকার রতন চন্দ্র দাসের ছেলে অন্তর চন্দ্র দাম (২০)।

গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার (১লা সেপ্টেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই শওকত আলী। গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লেখিতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় ।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩টা হইতে গত বুধবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৬টা ৫০ মিনিটের মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর থানার টিনের মসজিদ সংলগ্ন আলফা প্রধানের পুকুরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে র্মগে প্রেরণ করেছে। নিহত সজিব চন্দ্র ভাওয়াল বন্দর থানার এম.এম. শাহ রোডস্থ জনৈক করিম মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া ও শশী চন্দ্র ভাওয়ালের ছেলে।

এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) গ্রেপ্তারকৃত ২ আসামীসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৪৬(৬)২৩ ধারা- ৩২৮/৩০২/ ২০১/ ৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।

ঘটনার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, গ্রেপ্তারকৃত অজিৎ চন্দ্র নাহা ও অপরধৃত অন্তর চন্দ্র দাস ও পলাতক আসামী হাবিব মামলার বাদীর ছেলে সজিব চন্দ্র ভ্ওায়ালের বন্ধু। গত ২৯ আগস্ট দুপুর ২টায় মামলার বাদী কাজ শেষে বাড়ি ফিরে তার ছেলে সজিব চন্দ্র ভাওয়াল সাথে দুপুরে খাবার শেষে ২নং বিবাদী অন্তর দাস বাদীর ছেলের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যায়।

ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টা সময় বাদীর ছেলে ১নং বিবাদী অজিৎ চন্দ্র নাহা সেলুনে দেখা করার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর সজিব চন্দ্র ভাওয়াল আর বাড়িতে ফিরে আসেনি।

গত বুধবার (৩০ আগস্ট) রাত ২:৩০ মিনিট এ স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারে বাদীর ছেলের মৃতদেহ বন্দর টিনের মসজিদ সংলগ্ন আলফা প্রধানের পুকুরে আছে। পরে ওই রাতে খোঁজাখুজি করে সজিবের মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। ৩০ আগস্ট ভোরে ৬টা ৫০ মিনিটে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় উল্লেখিত পুকুর থেকে বাদীর ছেলের মৃত দেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী জানিয়েছে,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলে সজিব চন্দ্র ভাওয়ালকে নেশা সেবন করিয়ে সকল আসামীগন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য উল্লেখিত পুকুরে ফেলে দেয়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, সজিব চন্দ্রের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সজিব হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ১ জনকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
Translate »