জাকির খানের কারাবাসের এক বছর পূর্ণ হওয়ায় তার দ্রুত মুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বাদ মাগরিব বন্দরে ২৩নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাসান খোকনের উদ্যোগে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর মৎস্যজীবী দলের আওতাধীন ২৩নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু।
দোয়াপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সবচেয়ে ত্যাগী ও সাহসী নেতাদের মধ্যে জাকির খান অন্যতম। দল করতে গিয়ে তার মত এত কারাবাস আর কোন নেতাকে করতে হয়েছে বলে আমার জানানেই। এক সময় জাকির খানের সাহসীকতার কারণে এ নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের ভীত কেঁপে উঠতো।
বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমানও সেই সময়ে জাকির খানের সাথে ফাইট করে কুলিয়ে উঠতে পারতো না। আর এ সাহসীকতার কারণে জাকির খানকে নিজ দলের ও দলের বাইরের লোকজন দ্বারাও বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, যে মামলায় জাকির খান কারাবাস করছেন ওই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত হয়ে সেদিন এ মামলাটি ঠুকে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এবং মিথ্যাকে পরাজিত করে জাকির খান একদিন মাথাউঁচু কারাগার থেকে বের হয়ে আবারও এ নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে নেতৃত্বে দিবেন। আপনারা সবাই আমার নেতার জন্য দোয়া করবেন।
বক্তব্য শেষে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও জাকির খানের মুক্তি ও সুস্বাস্থ্য কামনায় বিশেষ মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদে উপস্থিতি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা শ্রমিক দল নেতা মো. সুমন খান, মহানগর মৎস্যজীবী দলের নেতা মো. আসাদুল জামান সানী, বন্দর থানা মৎস্যজীবী দলের সদস্য মো. মানিক, মো. রিদিওয়ান, মো. জনি, মো. আলআমিন, ২৩নং ওয়ার্ড সহ প্রচার সম্পাদক মো. নাঈম, মো. সুমন, সদস্য আজিম সুমন, মো. রাজু প্রমূখ।