বন্দরে গৃহবধূ তাবাসসুম বিন তানহা (১৯) কে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে পলাতক স্বামীকে আটক করেছে র্যাব-১১। তাদের দাবি স্ত্রীকে ‘গলায় ফাঁস লাগিয়ে মরতে পারসনা, আত্মহত্যা করে মারা গেলে ঝামেলা থেকে বেঁচে যেতাম’ বলে সে প্ররোচানা দিত। শনিবার (৭ অক্টোবর) সিদ্ধিরগঞ্জ সানারপাড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত স্বামীর নাম আরিফুল ইসলাম বাবু (৩০)। সে বন্দর উপজেলার দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকার মোজাম্মেল মিয়ার ছেলে।
র্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার (সিনিয়র এএসপি) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ২০২২ সালের বন্দর দক্ষিণ লক্ষণখোলার মোজাম্মেলের ছেলে আরিফুল ইসলাম বাবুর সাথে তিনগাঁও এলাকার নাছরিন আক্তারের মেয়ে তাবাসসুম বিন তানহার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আরিফুল ইসলাম বাবু তার স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে খাবার শেষে আরিফুল ইসলাম বাবু ও তার স্ত্রী ভিকটিম তাবাসসুম বিন তানহা ঘুমিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় আরিফ হোসেন বাবু ঘুম থেকে জেগে দেখতে পায় তার স্ত্রী তাবাসসুম বিন তানহা টিনের ঘরের আড়ার সঙ্গে তার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে রাত ১২ টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে যেকোনো সময় আত্মহত্যা করেছে।
পরে বন্দর থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ এসে ভিকটিমের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মৃতদেহ ময়না তদন্ত করার জন্য ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আরিফুল ইসলাম বাবু বিবাহের পর হতে বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবীসহ বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিকটিমকে আত্মহত্যার প্ররোচিত করায়, ভিকটিম গলায় ফাঁস দিয়া আত্মহত্যা করেছে। আরিফুল ইসলাম বাবু প্রায়ই ভিকটিমকে “গলায় ফাঁস লাগিয়ে মরতে পারসনা” এসব কথা বলত। ভিকটিম আত্মহত্যা করে মারা গেলে ঝামেলা থেকে বেঁচে যায় বলে সে প্ররোচানা দিত। আসামীর এই অত্যাচার-অপমান সহ্য করতে না পেরে তার প্ররোচনায় বাধ্য হয়ে গলায় ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে গৃহবধূ। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা সংক্রান্তে একটি মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, এই নৃশংস আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামীকে র্যাব-১১ তার অবস্থান সনাক্ত করে আটক করতে সক্ষম হয়। আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।