বিএনপি ডাকা অবরোধের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বন্দর স্ট্রীল মিলের সামনে ২টি পিকআপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ-গাড়ি ভাংচুর ও হরতালে মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়রকের ফুললহর এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ ও যানবাহন ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় সনিগ্ধ আসামী হিসেবে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার রুজুকৃত ৩৩(১০)২৩নং মামলায় ৭ জনকে ও অপর গ্রেপ্তারকৃত ২ জনকে ১(১১)২৩ মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বন্দরের হরিপুর এলাকার মৃত আসাদ মিয়ার ছেলে মনির হোসেন ওরফে বালু মনির (৪৮)মদনপুর সাহেব বাড়ি এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে রোহান (২১), বন্দরের একরামপুর এলাকার মৃত সামসুল কায়সারের ছেলে কাজী নজরুল ইসলাম (৬১), একরামপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান (৪৮) শান্তিনগর এলাকার মৃত সাইজুদ্দিনের ছেলে সেলিম (৫৭), সোনাকান্দা এলাকার মৃত নূরুল হুদার ছেলে হাসান মৃধা( ৪৫), পশ্চিম হাজীপুর এলাকার মৃত আবদুল কাদির মিয়ার ছেলে আবদুল খালেক (৫২), এনায়েতনগর এলাকার মৃত লালচাঁন মিয়ার ছেলে মামুন (৩৫), সোনাকান্দা এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোঃ রফিক (৪০)। গ্রেপ্তারকৃতরা বিএনপির নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ডাকা হরতালে বন্দরের ফুলহর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুর করে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং ১লা নভেম্বর অবরোধ চলাকালে বন্দর ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বন্দর স্ট্রিল মিল এলাকায় দুটি পিকআপ ভ্যানের অগ্নিসংযোগ ও যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক ফয়েজ আহাম্মেদ ও কামতাল তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক আল ইসলাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় উল্লেখিত পৃথক ২টি মামলা রুজু করেন।