বন্দরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মৎস খামার ভরাটের কারনে ২লাখ টাকা মাছ ভেসে গিয়ে ক্ষতি সাধনের ঘটনায় প্রতিবাদ করার জের ধরে ৪ যুবককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ব্যাপারে আহতের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টম্বর) রাতে ১৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারের সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ। যার মামলা নং- ৪৪-১০-২৩ ধারা- ১৪৩/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩৭৯/ ৪২৭/ ১১৪/ ৫০৬/ পেনাল কোড-১৮৬০।
এর আগে শনিবার (৩০ সেপ্টম্বর) দুপুর পৌনে ২টায় বন্দর থানার উত্তর কলাবাগস্থ এডঃ বদরুল আলমের বাড়ি পূর্ব পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলো ফয়সাল (৩৫) আরিফ দেওয়ান (৩৬) ও শরিফ দেওয়ান (৩০) সোহান (২৫)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযুক্ত আসামীরা হলো বন্দর থানার উত্তর কলাবাগস্থ মাইচ্ছাপাড়া অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী মোঃ উজ্জল ওরফে কাইল্লা উজ্জল (৪০) বন্দর রেললাইন হাফেজীবাগ এলাকার আল আমিন (২৫) একই এলাকার জব্বার মিয়ার ছেলে রাকিব (২৫) উত্তর কলাবাগ মাইচ্ছাপাড়া এলাকার ওসমান গনি (৪৮) বন্দর ঝাউতলা এলাকার সাঈদ মিয়ার ছেলে সিফাত বন্দর হাফেজীবাগ এলাকার ইমন (২২) একই এলাকার রাব্বি (২৭) একই এলাকার সামছুল হকের ছেলে রিয়াদ (২৮) একই এলাকার আব্দুল সালামের ছেলে শাওন (২৬) একই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে সোহাগ (২৭) বন্দর হাফেজীবাগ এলাকার মুন্না (২৭) একই এলাকার রাসেল (২৭) একই এলাকার বুইট্টা আবুল মিয়ার রায়হান (২৭) ও ফয়সাল (৩৫)।
মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বন্দর থানার উত্তর কলাবাগস্থ এডঃ বদরুল আলমের বাড়ি পূর্ব পাশে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে র্দীঘ ৬ মাস ধরে ব্যবসা করে আসছে বন্দর থানার উত্তর কলাবাগস্থ মাইচ্ছাপাড়া অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী মোঃ উজ্জল ওরফে কাইল্লা উজ্জল । অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী উজ্জল মামলার বাদিনী আত্মীয় মোঃ আরিফ দেওয়ানের মৎস খামার সংলগ্ন স্থানে বালু ভরাটের কাজ করার কারনে ড্রেজারে পানিতে মৎস খামার ভেসে গিয়ে ২ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করে।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টম্বর) দুপুর পৌনে ২টায় বিষয়টি অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী কাইল্লা উজ্জলকে জানালে এ ঘটায় কাইল্লা উজ্জল ক্ষিপ্ত হয়ে উল্লেখিত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাইল্লা উজ্জলের হুকুমে উল্লেখিত বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদিনী ছেলে ফয়সালকে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ ঘটনায় আমার ছেলে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই সময় সকল হামলাকারিরা আমার আত্মীয় আরিফ দেওয়ান, শরীফ দেওয়ান ও সোহানকে লোহার রড এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে হাড়ভাঙ্গা জখম করে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ১টি স্বার্ণের চেইন ও ৩টি মোবাইল সেট ভাংচুর করে আরো ৪০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।