নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, নেত্রী সারা বিশ্বের ক্ষমতাধরদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দিয়েছেন। আর এই দেশের কিছু মানুষ অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম, যারা ইসরায়েলের মতো বর্বর জাতিকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যেন কথা না বলে সেই প্রেসক্রিপশন দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন দিয়ে দেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেছেন। সারা বিশ্বকে দেখিয়েছেন একটি নিরীহ জাতির ওপর নিষ্ঠুর জাতির নির্যাতনের প্রতিবাদ কীভাবে করতে হয়।’
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ফতুল্লার কুতুবপুর বায়তুল আমান জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে এলাকাবাসীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি জানে না। আল্লাহ কোরআনে বলেছে কেউ যদি একটা নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করল সে পৃথিবীর সকল মানুষকে হত্যা করল। আর কেউ যদি একটি নিরপরাধ মানুষকে রক্ষা করল সে সকল মানুষকে রক্ষা করল। মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারার পাপ, ওরা এমনি ধ্বংস হবে। রাজনীতি এটা না। এটা রাজনীতি হতে পারে না। এটা জঘন্য অপরাধ।
শামীম ওসমান বলেন, আমার সকল বড় বড় কাজগুলো নিয়ে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, লিংকরোড হয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জের চেহারা চেঞ্জ হয়ে যাবে। তবে একটা জিনিস আমি একা পারব না। সেটা হল মাদক ও সন্ত্রাস। এ সমস্যাটা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। পুলিশ একা এটা পারবে না।
তিনি বলেন, আমাদের চাওয়া একটাই। আমাদের দেশটা স্বাধীন করতে ত্রিশ লাখ মানুষ শহিদ হয়েছেন, দু লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম গেছে। আমরা একটা উন্নত বাংলাদেশ চাই। যেটা অনেক আগেই পেতাম বঙ্গবন্ধু হত্যা না হলে। তাহলে আমাদের রাস্তায় হাঁটতে হতো না। বাংলাদেশ অনেক আগেই জাপানের মত উন্নত দেশ হতো। আমরা আমাদের যৌবন, কৈশোর পাইনি। এই ছোট ছোট বাচ্চাদের একটা সুন্দর বাংলাদেশ দিয়ে যেতে চাই।
এ সংসদ সদস্য বলেন, গত পাঁচ বছর আগে আমি এখান দিয়ে হেঁটে যেতে পারিনি। আজ এখানে আরসিসি রাস্তা হয়ে গেছে। আমরা দলমত নির্বিশেষে ভালো মানুষদের নিয়ে ভালো কাজ করতো চাই। মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটিজিং বন্ধে আমি সকলের সহায়তা চেয়েছি। তারা সকলে আমাদের সহযোগিতা করবেন।
তিনি আরও বলেন, অনেকে ভেবেছেন হয়ত আমি নির্বাচনী প্রচারণায় এসেছি। আসলে বিষয়টি সেরকম না। বিষয়টি হচ্ছে আপনার ভোট আপনি যাকে খুশি তাকে দেবেন। কে উন্নয়ন করেছে, কে আপনাদের দুঃখ কষ্টে পাশে আছে আপনারা তাদেরকেই ভোট দেবেন। আমি মূলত এই এলাকায় এসেছি এ কারণে যে বহুদিন আগে একবার এই এলাকায় এসে দেখেছিলাম এই এলাকার উন্নয়নগত পরিস্থিতি অনেকটা নাজুক। সেই সময় আমি এই এলাকার উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। সে সময় এই এলাকার মানুষের মুখ কালো দেখেছিলাম। তখন আপনাদের মসজিদে হেঁটে আসতে হয়েছিল। এখন আমি আপনাদের মসজিদে গাড়ি নিয়ে আসতে পারছি। মানুষের মুখে সেই কালো নেই। এখন মানুষের মুখে হাসি।
আসন্ন সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শতভাগ গ্যারান্টি দিচ্ছি নির্বাচন সময় মতো হবে। কে নির্বাচনে এলো কে এলো না এসব বিষয় না। বিষয় হচ্ছে সংবিধান অনুযায়ী সময় মতো নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, এ সরকার উন্নয়নের সরকার। নির্বাচনী প্রচারণায় আসিনি। আমি উন্নয়ন কি হয়েছে আর কোন উন্নয়ন বাকি আছে কিনা তা পরিদর্শন করে এর মধ্যেও যদি পারি বাকি উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করব তাই দেখতে এসেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ফতুল্লা বাক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলাল, যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল হোসেন প্রমুখ।