রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মধ্যরাতে ঢাকার জুরাইন রেললাইন সংলগ্ন বস্তি থেকে ককটেল ও পেট্রল বোমাসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব।
আটককৃতরা হলো-নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা আলমগীর, রাব্বী ও কাশেম। শুক্রবার দিবাগত রাতে ট্রেনে আগুন লাগার পর জুরাইন বস্তিতে র্যাব-৩ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এসময় তারা সেখানে বসে বিপুল পরিমাণে ককটেল ও পেট্রল বোমা বানাচ্ছিলেন । র্যাব সেখান থেকে ৩০টি তৈরি ককটেল ও ২৮টি পেট্রল বোমা উদ্ধার করে।
র্যাব ধারণা করছে যেখান থেকে তাদের আটক করা হয়েছে সেখান থেকে ট্রেনে সহজে অগ্নিসংযোগ করা সম্ভব এবং আটককৃতরা মাদকাসক্ত। এছাড়া ওই ট্রেনের দুই যাত্রীকে সন্দেহভাজন হিসেবে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ট্রেনে আগুন লাগার পর জুরাইন বস্তিতে কিছু সন্দেহজনক ব্যক্তির আনাগোনার তথ্য পায় আমাদের গোয়েন্দারা।
এরপর র্যাব-৩ অভিযান চালিয়ে আলমগীর, রাব্বী ও কাশেম নামের তিনজনকে আটক করে। তারা এখানে বসে বিপুল পরিমাণে ককটেল ও পেট্রল বোমা বানাচ্ছিলেন। সেখানে ৩০টি তৈরি ককটেল ও ২৮টি পেট্রল বোমা পাওয়া গেছে। যেখান থেকে তাদের আটক করা হয়েছে, সেখান থেকে ট্রেনে সহজে অগ্নিসংযোগ করা সম্ভব। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ও তারা মাদকাসক্তও বলে মনে হয়। তারা আয়নাল নামের এক ব্যক্তির নাম বলেছে। তবে তার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি।
তবে আয়নাল তাদের দিয়ে ককটেল ও পেট্রল বোমা বানাচ্ছিলেন এবং এর আগেও তাদের কাছ থেকে বোমা বানিয়ে নিয়েছেন।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারি বিভাগের উপকমিশনার ইকবাল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ট্রেনের দুইজন যাত্রীকে নজরদারিতে রেখেছি। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে।
তারা কুষ্টিয়া থেকে উঠেছেন। ফরিদপুরের ভাঙ্গার পরে ট্রেনটি আর থামেনি। ঢাকা থেকে উঠে কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে হয় না। কারণ এটির সর্বশেষ স্টপেজ ছিল ভাঙ্গা স্টেশন।