নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার লালপুরে ডাইং ব্যবসায়ী হাজী শহিদুল্লাহ মিয়াজীর মালিকানাধীন বাড়ী মিয়াজী মঞ্জিলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে।
রোববার (৯ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে ভবনের দ্বিতীয় তলার গ্রীল কেটে রুমে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত, পা, চোখ বেধে এ ডাকাতি সংঘটিত করে।
এ ঘটনায় ডাইং ব্যবসায়ী রনি ডাইংয়ের মালিক হাজী শহিদুল্লাহ মিয়াজী মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
রনি ডাংইয়ের মালিক হাজী শহিদুল্লাহ মিয়াজীর বড় ছেলে রনি জানায়, তাদের দ্বিতীয় তলার দক্ষিণের বারান্দার গ্রিল কেটে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মাথায় ক্যাপ,মুখোশ পরিহিত ছয় ডাকাত প্রথমে তার রুমে প্রবেশ করে। তারা ডুকেই প্রথমে তার হাত,মুৃখ বেধে ফেলে। এ সময় একজনের হাতে পিস্তল ছিলো এবং অপর সদস্যদের নিকট ধারালো অস্ত্র। পরবর্তীতে ডাকাত দলের সদস্যরা তার ছোট ভাই সহ পরিবারের সকল সদস্যদের একটি রুমে আটকে রেখে প্রতিটি রুমের আলমারীর তালা ভেঙ্গে নগদ ১৫ লাখ টাকা ও ৮০ ভরি স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা নিজেরা লুন্ঠিত মালমাল নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি করে। প্রায় এক ঘন্টার মতো অবস্থান করে রাত সাড়ে চারটার দিকে ডাকাত দলের সদস্যরা যেখান দিয়ে প্রবেশ করেছিলো সেখান দিয়েই চলে যায়। ডাকাত দলের দু জনের বয়স ৪০-৪৫ হবে বাকীদের বয়স দুজনার তুলনায় একটু কম বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, এতো টাকা বাসায় রাখার কথা ছিলোনা। রাতে এক পার্টি টাকা দেওয়াতে তা বাসায় এনে রাখা হয়েছিলো। ডাকাতরা ওই টাকাসহ স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়,যারাই ডাকাতি করেছে এদের সাথে স্থানীয় অপরাধীদের কেউ না কেউ জড়িত রয়েছে।কারন ডাকাত দল যে রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করেছে তা বাইরের কারোর পক্ষে চেনা জানা সম্ভব নয়।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, ডাকাতির ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ডাকাতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করেছে।