নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পর দেশি-বিদেশি বিভিন্ন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ও বটিমে ভিডিও পাঠাতেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবু তালেব মাসুম (৩৭)। গত ২৯ অক্টোবরও চারটি গাড়ি ভাঙচুর করে মাসুম।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকাসহ বিভিন্ন মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে গণপরিবহন, ব্যক্তিগত পরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, হামলা ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা চালায়। এসব নাশকতা ও সহিংসতার সিসি ফুটেজ ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। র্যাব এ নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১ ও র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মূলহোতা এবং ১৫টি মামলার পলাতক আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবু তালেব মাসুম (৩৭) এবং তার সহযোগী নারায়ণগঞ্জ জেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি জজ মিয়াকে (৩৯) গ্রেফতার করা হয়েছে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতাররা তাদের দলীয় নেতাদের নির্দেশনায় ও মাসুমের পরিকল্পনা রূপগঞ্জ এলাকায় সহিংসতা ও নাশকতা চালায়। মাসুম ২৮ অক্টোবর পল্টনে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় আসে। পরে গ্রেফতাররা পল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় গণপরিবহন, ব্যক্তিগত যানবাহনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অপচেষ্টা চালায়।
মাসুম ও তার অনুসারীদের এসব নাশকতার ভিডিও ফুটেজ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় এবং সর্বশেষ কক্সবাজারে আত্মগোপন করে।
গ্রেফতার জজ মিয়া ছাত্রদল নেতা মাসুমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চারটির বেশি মামলা রয়েছে।