নারায়ণগঞ্জে গত ১২ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির অন্তত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ছয়টা পর্যন্ত সাতটি থানা এলাকায় এসব অভিযান চলে বলে জানান জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা৷
তিনি বলেন, নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলাগুলোর ফলোআপ হিসেবে এসব অভিযান চলে৷ অভিযানে আটক বিএনপি নেতা-কর্মীকে পুরোনো ও নতুন বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সারাদেশে আরও দুই দিনের অবরোধ ডেকেছে বিএনপি, জামায়াত ও শরিক দলগুলো। দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনে সদর উপজেলার চাঁদমারী, সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়, সোনারগাঁ উপজেলার সিংলাবো, রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইলসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি৷
পুলিশ জানায়, সদরের সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ সমর্থকরা সড়কে কেরোসিন ফেলে এবং টায়ারে আগুন ধরিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশি টহলের কারণে তারা মহাসড়কে যানবাহন বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেনি৷ পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়৷
এ দুই মহাসড়কে ভোর থেকে বিজিবির একটি দলকে টহল দিতে দেখা গেছে।
এদিকে ১১টা পর্যন্ত কোনো সংঘর্ষ বা গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যেকোনো ধরনের অগ্নিসংযোগ, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সড়ক-মহাসড়কেও টহল দিচ্ছে র্যাব, বিজিবি দল। বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা৷
এদিকে সড়ক-মহাসড়কে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল সকাল থেকে কম চলাচল করতে দেখা গেছে৷