নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তাছামা আক্তার মিম (১৫) নামে এক তরুণী ১০ দিন যাবৎ নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ‘৯৯৯’-এ ফোন পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকা থেকে সাথী ওরফে তাহমিনা নামে এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার সাথী ওরফে তাহমিনা হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার শিবপুর গ্রামের হাদিমুল ওরফে আলামিনের স্ত্রী। নিখোঁজ তাছামা আক্তার মিম সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানী নগর এলাকার মো: পারভেজের মেয়ে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো: জহিরুল জানায়, শনিবার রাতে ‘৯৯৯’-এর ফোন পেয়ে নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় যাই। সেখানে নিখোঁজ তরুণী তাছামা আক্তার মিমের বাবা পারভেজ ও মা বৈশাখী আক্তার তাদের মেয়েকে ভারতে পাচারের অভিযোগে তাহমিনা নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় তাহমিনা আক্তারের সম্পৃক্ততা আছে কিনা আমরা তদন্ত করে দেখছি। তবে আটককৃত ওই নারী জানান, এ ঘটনায় সে জড়িত নয় কিন্তু তার স্বামী সম্পৃক্ত রয়েছে। তাকে পেলেই নিখোঁজ মিমকে পাওয়া যাবে।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ তরুণী তাছামা আক্তার মিমের বাবা মো: পারভেজ বাদী হয়ে তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে কাইয়ুম (২৩), ফাহিম (২৬), মিজান (২৮) ও রাসেল (২৭) নামে চার জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অভিযোগ নং-৫৪৭৭।
অভিযোগে নিখোঁজ তরুণীর বাবা পারভেজ জানান, পূর্বের একটি ঘটনায় কাইয়ুম ও ফাহিমের নামে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নং-৫৬৯/২৩। এ মামলায় ফাহিম জামিনে মুক্তি পেয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর বেলা আনুমানিক ৩ টার সময় আমার মেয়ে ও আমার স্ত্রী মাদানীনগর টাওয়ার গলি এলাকায় আমার ভাগ্নির বিয়ের অনুষ্ঠান যাচ্ছিলেন। এসময় দুইটি মোটর বাইক যোগে ফাহিমসহ উপরোক্ত বিবাদীরা এসে আমার স্ত্রী বৈশাখী আক্তারকে তাদের নামে দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে বলে। তখন আমার স্ত্রী তার নামে দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করলে সে আমার মেয়ে তাছামা আক্তার মিমকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে। একই দিন সন্ধ্যা অনুমানিক সাড়ে ৭ টার সময় বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন আমার মেয়েকে হঠাৎ হারিয়ে যায়। তাকে না পেয়ে বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। এতে আমার মনে হয় যে, ফাহিমসহ উপরোক্ত সকল আসামীরা আমার মেয়েকে জোর পূর্বক অপহরন করে নিয়ে গেছে।