আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে যে বাংলাদেশ নির্মান হবে সেখানে কেউ না খেয়ে মারা যাবে না, কেউ দূর্ঘটনায় মারা যাবে না। সরকার চেষ্টা করছে শ্রমিকরা যাতে তাদের ন্যায্য পাওনা পায় এবং তারা যেন সকল সুযোগ-স্বুধিা ভোগ করতে পারে সেজন্য কাজ করছে। বুধবার (১ মে) বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হক উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক আফিফা বেগমের সভাপতিত্বে ‘শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মহান মে দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে সাত হাজারের বেশী গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে অথচ ১০/২০ বছর আগেও এসব ভাবাই যেতো না। এটা কিন্তু কোন মালিকের একক অবদান নয়, শ্রমিকদের রয়েছে এতে বিশাল অবদান। ধীরে ধীরে এ দেশটা আজকে যে অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে যে উন্নয়নের কথা বলেছেন সেটা আপনার আমার সন্তানরা দেখবে। আমাদের পূর্ব পুরুষরা অনেক পরিশ্রম করেছিলেন বলেই আজকে আমরা এখানে এসে পৌছতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে মালিক পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে বিকেএমইএ এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ও শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব কাউসার আহমেদ পলাশ উপস্থিত ছিলেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম ছাড়াও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও এতে অংশগ্রহণ করেন।