নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, ‘বিএনপি-জামাত আগেও যেভাবে আগুন সন্ত্রাস করেছে একইভাবে আবার তারা আগুন সন্ত্রাস করার চেষ্টা করছে। আমাদের কাছে খবর আছে বিএনপি-জামাতের আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে আরও ব্যাপক ভাবে বাড়াবে এবং হিংসাত্বক কার্জকলাপ আরও বাড়াবে। তাদের উদ্দেশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার না, তাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে একটি পাপের সরকার আসে। আর সেই সুযোগে আবারো দেশকে কলোনী রূপে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা চলছে। আমাদের ছোট্ট একটা দেশ, সারা পৃথিবীতে বহু জায়গায় নির্বাচন হচ্ছে সেটা নিয়ে কোন কথা নাই। গাজাতে মানুষ পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলছে,হাসপাতালে আগুন দিচ্ছে। ঠিক একই কাজ এরা করছে, সেখানে মানবধিকারে কোন প্রশ্ন উঠছে না। কিন্তু হঠাৎ করে বাংলাদেশের ব্যাপারে সবাই খুব উদগ্রীব। এর একটাই কারণ, সেটা হলো আমাদের ভৌগলিক সীমা, এর জন্য আমরা খুব ইমপ্রটেন্ট একটা জোনে পরিণত হয়েছি। যার জন্য পরাশক্তি ও বাংলাদেশে যারা আছে যাদের মধ্যে দেশ প্রেম নাই। বিশেষ করে লন্ডন থেকে তারেক রহমান যে কোন পন্থায় এই নির্বাচনকে বন্ধ করতে চায়। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ফতুল্লায় পঞ্চবটী থেকে মুক্তারপুর রাস্তা প্রসস্ত ও দোতলা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধন করার পর, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফলক উন্মোচন করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমি আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে চাই ইনশাআল্লাহ নির্বাচন হবে, সময় মতো হবে। হয়তো কিছু ডালপালা ভাঙ্গবে-পুড়বে, কিছু শামীম ওসমান মরবে, কিছু আহত-নিহত হবে। ওরা আমাদের আঘাত করবে। ওরা বার বার আঘাত করেছে। জাতির পিতার কণ্যাকে মেরে ফেলার জন্য ২১বার চেষ্টা করেছে, আমাদের উপর বোমা হামলা করেছে, বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আমাদের প্রতি নির্দেশ আছে শন্তিপূণ অবস্থান রাখতে, আমরা সেটা রাখবো এবং সময় মতো নির্বাচন হবে। উন্নয়ণের কর্মকান্ড চলছে এবং চলামান থাকবে। শেখ হাসিনা যদি আবার ক্ষমতায় আসে এই দেশ আরও উপরে যাবে। এই উন্নয়নের যাত্রা অব্যহত থাকবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।
বিএনপি-জামাতের নাশকতা নিয়ে শামীম ওসমান বলেন, মানুষের জান মাল রক্ষা করা পুলিশের কর্তব্য, আমরা হলাম জনগণের সেবক। জনগণ যদি বলে আমরা এটা রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমরা প্রতিহত করবো। কারণ বিএনপি-জামাতের থেকে জনগণের শক্তি অনেক বেশী, যারা দুষ্কৃতিকারী তারা গুটি কয়েকজন। তাদের উদ্দেশ্য একটা কথাই থাকবে ‘আপনাদের বুঝা উচিৎ যাদের গাড়িতে আগুন দিচ্ছেন, মানুষ মারছেন, মৃত পুলিশ অফিসারকে চাবাতি দিয়ে কোপাচ্ছেন, এটা মানুষের ধৈর্য সিমার বাহিরে চলে যাচ্ছে। আপনারা আগুন দিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন আপনাদের বাড়ি ঘর আছে, যদি মানুষ একবার আপনাদের দিকে সেই নজর দেয় তাহলে সেটা রক্ষা করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। সো তাদের সেই পথ থেকে বের হওয়া উচিৎ। যেই খুনি তার মায়ের জন্য চিন্তা করে না, সে বাচ্চা গুলোকে অপরাধ করিয়ে তাদের জীবন নষ্ট করছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, তারা জেলে থাকলে তারেক রহমান কিন্তু তাদের খবর রাখবে না। তাই আপনারা আপনাদের সন্তানদের এই খারাপ কাজে যেতে দিবেন না, তাদের সাথে মেশাপা বন্ধ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসসের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস।